রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে হার্ডওয়্যারের দোকানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ: দোকানদার নিহত, এলাকায় আতঙ্ক

রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে হার্ডওয়্যারের দোকানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ: দোকানদার নিহত, এলাকায় আতঙ্ক
সর্বশেষ আপডেট: 14 ঘণ্টা আগে

রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলায় গভীর রাতে একটি হার্ডওয়্যারের দোকানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে দোকানদার শঙ্করলালের দেহ বাতাসে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায়। বিস্ফোরণে বেশ কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

ঝুনঝুনু: রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলার খেতড়ি শহরে মঙ্গলবার গভীর রাতে একটি হার্ডওয়্যারের দোকানে ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটে, যার ফলে পুরো এলাকা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। বিস্ফোরণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে দোকানের লোহার শাটার প্রায় ৬০ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে এবং দোকানের ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা দোকানদার শঙ্করলাল (পাপুরনার বাসিন্দা) ঘটনাস্থলেই মারা যান। বিস্ফোরণের শব্দ পুরো এলাকায় প্রতিধ্বনিত হয়, যার ফলে লোকেরা তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে।

রাত ২টায় প্রচণ্ড বিস্ফোরণ

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, রাত প্রায় ২টায় খেতড়ির নিজামপুর মোড়ে অবস্থিত হার্ডওয়্যারের দোকান থেকে হঠাৎ একটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের শক্তি এতটাই ছিল যে আশেপাশের দোকানের কাঁচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়, দেওয়ালে ফাটল ধরে এবং রাস্তায় ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে।
লোকেরা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখে, তখন দোকানের শাটার প্রায় ৬০ ফুট দূরে পড়ে ছিল এবং দোকানদার শঙ্করলালের দেহ রাস্তার পাশে পাওয়া যায়। এই দৃশ্য এতটাই ভয়াবহ ছিল যে দর্শকদের আত্মা কেঁপে ওঠে।

দমকল কর্মীরা কয়েক ঘণ্টা পর আগুন নেভায়

বিস্ফোরণের পর দোকানে আগুন ধরে যায়, যা পাশের একটি বইয়ের দোকান পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এইচসিএল এবং পৌরসভার দুটি দমকল ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

স্থানীয়রা জানান যে বিস্ফোরণের পরপরই ধোঁয়া এবং আগুনের শিখা এতটাই তীব্র ছিল যে কারো কাছে যাওয়ার সাহস হয়নি। আশপাশের লোকেরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে এবং পুলিশকে খবর দেয়।

পুলিশ ও ফরেনসিক দল তদন্তে নেমেছে

ঘটনার খবর পেয়ে খেতড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং দেহটি রাজকীয় অজিত উপ-জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। পুলিশ ফরেনসিক দলকে ডেকে প্রমাণ সংগ্রহ করে।

প্রাথমিক তদন্তে শর্ট সার্কিট, গ্যাস সিলিন্ডার ফুটো বা রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে বিস্ফোরণের আশঙ্কা করা হচ্ছে, কারণ দোকানে থিনার, পেইন্ট এবং সলভেন্টের মতো দাহ্য পদার্থ রাখা ছিল। তবে পুলিশ জানিয়েছে যে তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত সঠিক কারণ নিশ্চিত করা যাবে না।

ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক

বিস্ফোরণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই খেতড়ি শহরে ভয় ও বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরি হয়। স্থানীয় প্রশাসন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আশেপাশের বাজারগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করেছে। জেলা প্রশাসন অন্যান্য দোকানেও দাহ্য পদার্থ নিরাপদে সংরক্ষণের নির্দেশ জারি করেছে। অন্যদিকে, মৃত শঙ্করলালের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। লোকেরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছে যে এই ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।

Leave a comment