রাজস্থানে পঞ্চায়েত ও নগর সংস্থা নির্বাচন শীঘ্রই: রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা

রাজস্থানে পঞ্চায়েত ও নগর সংস্থা নির্বাচন শীঘ্রই: রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা

রাজস্থানে পঞ্চায়েত ও নগরীয় সংস্থা নির্বাচনের ঘোষণা আগামী ১০ দিনের মধ্যে হতে চলেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ১১,০০০-এর বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ১২৫টি নগর সংস্থায় নির্বাচন করাবে। কমিশন পুরো প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে এবং ভোটার তালিকা আপডেট করার মতো আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর দুই মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার আশ্বাস দিয়েছে।

Jaipur: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মধুকর গুপ্ত জয়পুরে এক প্রেস বার্তায় বলেছেন যে, রাজস্থানে পঞ্চায়েত ও নগরীয় সংস্থা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা আগামী ১০ দিনের মধ্যে করা হবে। এই নির্বাচন সেই সংস্থাগুলিতে করানো হবে, যেগুলির ৫ বছরের কার্যকাল শেষ হয়ে গেছে। কমিশন ভোটার তালিকা নবায়ন এবং অন্যান্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে, এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া দুই মাসের মধ্যে নিরপেক্ষ এবং সময়োপযোগী পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার আশ্বাস দিয়েছে।

১১,০০০ গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ১২৫টি নগরীয় সংস্থায় ভোট

মধুকর গুপ্ত জানান, এইবার নির্বাচন ১১,০০০-এর বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ১২৫টি নগরীয় সংস্থায় করানো হবে। তিনি বলেন, 'সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছরে নির্বাচন করানো বাধ্যতামূলক। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই দায়িত্ব সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সাথে পালন করবে।'

ভোটার তালিকা নবায়ন এবং সেই সম্পর্কিত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে এক থেকে দুই মাস সময় লাগবে। নির্বাচন কমিশনের এটাও ধারণা যে, নির্বাচন প্রক্রিয়া সময়োপযোগী এবং নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হওয়ায় জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।

রাজনীতিতে নির্বাচনী তৎপরতা

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার প্রস্তুতির সাথে সাথেই রাজ্যে রাজনৈতিক তৎপরতা বেড়ে গেছে। সমস্ত প্রধান রাজনৈতিক দল সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং স্থানীয় স্তরে নিজেদের কৌশল চূড়ান্ত করছে। বিশেষভাবে গ্রামীণ অঞ্চলে প্রার্থীদের খোঁজ এবং ভোটারদের সাথে যোগাযোগ অভিযান জোরদার হতে শুরু করেছে।

কমিশনার বলেন যে, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোনো বিলম্ব করা হবে না এবং সমস্ত প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই ভোট করানো হবে।

‘ওয়ান স্টেট-ওয়ান ইলেকশন’ নিয়ে কমিশনের স্পষ্টীকরণ

সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মধুকর গুপ্ত ‘ওয়ান স্টেট-ওয়ান ইলেকশন’ এর मुद्दे নিয়ে তার মতামতও রেখেছেন। তিনি স্পষ্ট করে জানান যে, যতক্ষণ না সংসদ সংবিধানে সংশোধন করে, ততক্ষণ স্থানীয় সংস্থা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচন একসাথে করানো সম্ভব নয়।

গুপ্ত বলেন, 'নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কার্যকাল না বাড়ানো যেতে পারে, না কমানো যেতে পারে। বর্তমান সংবিধান ব্যবস্থায় আলাদা আলাদা নির্বাচনই সম্ভব। তাই এই বছর उन पंचायत ও नगर निकायों में मतदान होगा, जिनकी अवधि समाप्त हो चुकी है। অন্য জায়গায় নির্বাচন সময় এলে করানো হবে।'

নির্বাচন প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ

রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই ভরসা দিয়েছে যে, নির্বাচন সম্পূর্ণ স্বচ্ছ হবে। ভোট কেন্দ্রগুলোর সংখ্যা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের প্রস্তুতি এবং ভোট কর্মীদের নিয়োগ সমস্ত দিকের ওপর বিশেষ নজর রাখা হবে।

মধুকর গুপ্ত জানান, ভোটার তালিকা নবায়ন সম্পূর্ণরূপে সুনিশ্চিত করা হচ্ছে যাতে কোনো ভোটারের অধিকারের সাথে আপস না হয়। এর সাথে কমিশন এটাও নিশ্চিত করবে যে, গ্রামীণ ও শহুরে এলাকায় ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে হয়।

Leave a comment