রাজস্থানের জালোর জেলার লুনি নদীর জলস্তর বৃদ্ধির কারণে চিতলওয়ানা মহকুমার পাওটা গ্রাম সম্পূর্ণভাবে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। গ্রামটি চারদিক থেকে জলে ঘেরা এবং সমস্ত সংযোগকারী রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় ১০০০ জন বাসিন্দার এই গ্রামটি এখন একটি দ্বীপে পরিণত হয়েছে, যেখানে মানুষজন নিজেদের घरों মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। অনেক বাড়িতে জল উনুন পর্যন্ত পৌঁছে গেছে এবং জনজীবন সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত। গ্রামে প্রায় ১০০টি বাড়ির অবস্থা এতটাই খারাপ যে মানুষজন বাইরে বেরোতে পারছে না।
রেশন আনাও কঠিন
পাওটা গ্রামের সরকারি স্কুলে পড়া প্রায় ৬০ জন ছাত্রছাত্রীও বন্যার কারণে স্কুলে যেতে পারছে না। রাস্তাঘাট সম্পূর্ণ বন্ধ থাকার কারণে শিশুরা গৃহবন্দী হয়ে রয়েছে। গ্রামবাসীদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, বিশেষ করে রেশন আনাও কঠিন হয়ে পড়েছে। জলের মধ্যে দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষজন রেশন আনতে বাধ্য হচ্ছে। কোথাও কোমর পর্যন্ত, আবার কোথাও হাঁটু পর্যন্ত জলে ডুবে থাকা এখন দৈনন্দিন জীবনের একটা বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গ্রামের মানুষজনের বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সাহায্য এসে পৌঁছায়নি, যার ফলে গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ। জলমগ্নতার এই পরিস্থিতি গ্রামটিকে মহকুমা সদর থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে, যার ফলে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে সাহায্য পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।
লম্বা পথ পেরিয়ে সদরে পৌঁছোচ্ছেন গ্রামবাসীরা
লুনি নদীতে আসা বন্যার প্রভাব শুধু পাওটা গ্রামেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর জেরে টাঁপি থেকে পাওটা, দুধওয়া থেকে হোতিগাঁও, দুধওয়া থেকে গলিফা এবং সুঁথড়ি থেকে সুরাচন্দ-এর মতো বেশ কয়েকটি প্রধান রাস্তাও বন্ধ হয়ে গেছে। এই কারণে গ্রামবাসীদের মহকুমা সদরে পৌঁছানোর জন্য ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে।
গ্রামে অসুস্থদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া অথবা ছাত্রদের স্কুলে যাওয়া, সব পথই বন্ধ হয়ে গেছে। বর্ষাকালে এই সমস্যা প্রতি বছরই দেখা দেয়, তবে এ বছর পরিস্থিতি আরও খারাপ।
পुल নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা
ক্রমবর্ধমান খারাপ পরিস্থিতি দেখে গ্রামবাসীরা সরকার ও প্রশাসনের কাছে ठोस পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, সময় থাকতে পুল নির্মাণ করা হলে এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে বাঁচা যেতে পারত। দুধওয়া-গালিফা সড়কে দীর্ঘদিন ধরে পুলের দাবি জানানো হচ্ছে, অন্যদিকে সুরাচন্দ সড়কে দুটি স্থানে এবং খেজড়িয়ালিতেও পুলের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
গ্রামবাসীদের अनुसार, বর্ষাকালে প্রায়ই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, যাতে গ্রামের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। वाहन चालक, রোগী, ছাত্র এবং অভাবীদের চরম সমস্যার सामना করতে হয়। প্রশাসনিক পরিষেবাও प्रभावित হয় এবং সময় মতো সাহায্য পৌঁছায় না।
স্থায়ী সমাধানের প্রয়োজন
গ্রামবাসীরা আবেদন জানিয়েছেন যে প্রশাসন যেন কেবল অস্থায়ী उपायोंের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং স্থায়ী সমাধান বের করা হোক যাতে প্রতি বছর বর্ষায় তাঁদের এই ধরনের সমস্যার सामना করতে না হয়। জলমগ্নতার পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য কার্যকর পরিকল্পনা এবং बुनियादी অবকাঠামো की सख्त প্রয়োজন, যাতে भविष्य में पावटा এবং आसपास के गांव इस तरह के संकट से बचे रह सकें।