রতলামে নবরাত্রি গরবা প্যান্ডেলে অ-হিন্দুদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, কাসির মুসলিমদের বিরত থাকার আবেদন

রতলামে নবরাত্রি গরবা প্যান্ডেলে অ-হিন্দুদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, কাসির মুসলিমদের বিরত থাকার আবেদন

রতলামে নবরাত্রিতে গরবা প্যান্ডেলগুলিতে অ-হিন্দুদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ব্যানার এবং আইডি যাচাইয়ের পরেই প্রবেশাধিকার মিলবে। শহরের কাজী মুসলিম সম্প্রদায়কে তাদের শিশুদের প্যান্ডেলে যাওয়া থেকে বিরত রাখার আবেদন জানিয়েছেন।

রতলাম: নবরাত্রি উৎসবের শুরুতেই গরবা প্যান্ডেলগুলিতে প্রবেশাধিকার নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কালিকা মাতা কমপ্লেক্সে তৈরি প্যান্ডেলগুলিতে ব্যানার লাগানো হয়েছে, যেখানে স্পষ্ট লেখা আছে যে ‘অ-হিন্দুদের প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ’। আয়োজকরা জানিয়েছেন যে, প্যান্ডেলে প্রবেশ কেবল পরিচয়পত্র এবং পাস পরীক্ষা করার পরেই মিলবে। এই পদক্ষেপ নিরাপত্তা এবং সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।

নবরাত্রি প্যান্ডেলে কঠোর প্রবেশ নিয়ম 

গত বছরগুলিতে নবরাত্রি উৎসবের সময় প্যান্ডেলগুলিতে প্রচুর ভিড় জমে। রতলামের আয়োজকরা এবার প্রবেশ নিয়মাবলী আরও কঠোর করেছেন। প্যান্ডেলে প্রবেশ শুধুমাত্র কপালে তিলক লাগানোর এবং আইডি পরীক্ষা করার পরেই দেওয়া হচ্ছে। আয়োজকরা বলছেন যে, এই পদক্ষেপ বিশেষ করে মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য নেওয়া হয়েছে।

কিছু প্যান্ডেলে প্রবেশাধিকারের জন্য পাস এবং পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন যে, এই সিদ্ধান্ত অসামাজিক উপাদান থেকে রক্ষা এবং অনুষ্ঠানের শান্তি বজায় রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে।

গরবা প্যান্ডেলগুলিতে মহিলাদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ

রাজ্য জুড়ে অনেক গরবা প্যান্ডেলে একই ধরনের ‘নো এন্ট্রি’ পোস্টার লাগানো হয়েছে। আয়োজকরা মনে করেন যে, এই পদক্ষেপ মহিলা ও মেয়েদের নিরাপত্তা এবং সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। কিছু লোক এই উদ্যোগের প্রশংসা করছেন এবং এটিকে নারী সুরক্ষার স্বার্থে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসাবে দেখছেন।

তবে, সমালোচকরা এটিকে ধর্মীয় ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতাকে উৎসাহিত করার পদক্ষেপ হিসাবে দেখছেন। তাদের বক্তব্য, এই সিদ্ধান্ত সম্প্রদায়গুলির মধ্যে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

শহরের কাজীর চিঠি এবং সম্প্রদায়ের প্রতি আবেদন

রতলামের শহরের কাজী মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেদের একটি চিঠি লিখে গরবা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করার আবেদন জানিয়েছেন। চিঠিতে লেখা হয়েছে যে, অ-হিন্দুদের প্রবেশাধিকারের ফলে অনুষ্ঠানে সামাজিক বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে এবং এটি পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

কাজী সম্প্রদায়ের প্রবীণদের কাছে অনুরোধ করেছেন যেন তারা তাদের সন্তানদের প্যান্ডেলে যাওয়া থেকে বিরত রাখেন। তিনি এটিকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও অনুচিত বলে মনে করেন। তাঁর বক্তব্য, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় থাকবে।

Leave a comment