রেওয়ারিতে রাসায়নিক ট্রাকে ভয়াবহ আগুন, গাজিয়াবাদের চার ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক মৃত্যু

রেওয়ারিতে রাসায়নিক ট্রাকে ভয়াবহ আগুন, গাজিয়াবাদের চার ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক মৃত্যু

খাটু শ্যামজি দর্শনে যাচ্ছিলেন গাজিয়াবাদের চার ব্যবসায়ী, রেওয়ারিতে রাসায়নিক ভর্তি একটি ট্রাকের আগুনে তারা আটকা পড়ে। দুর্ঘটনায় দুই ব্যবসায়ী জীবন্ত দগ্ধ হন, এবং অপর দুইজন গুরুতরভাবে আহত হন।

গাজিয়াবাদ: উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে চারজন ব্যবসায়ী রেওয়ারির বনেপুর চৌকিতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু সেই যাত্রা তাদের জীবনে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। সোমবার গভীর রাতে, আনুমানিক ১টা নাগাদ, রাসায়নিক ভর্তি একটি ট্রাকে হঠাৎ আগুন লেগে যায় এবং পিছন থেকে আসা একটি ক্রেটা গাড়ি তাতে আটকে পড়ে। দুর্ঘটনায় দুই ব্যবসায়ী, আশু এবং মনু, ঘটনাস্থলেই মারা যান, এবং সুমিত ও ঋষি গুরুতরভাবে আহত হন।

দুর্ঘটনায় ভয়াবহ আগুন ও আতঙ্ক

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে অল্প সময়ের মধ্যেই ক্যান্টার এবং গাড়ি দুটোই পুরোপুরি আগুনের গ্রাসে চলে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সকলেই অবিলম্বে পুলিশ এবং দমকল বাহিনীকে খবর দেন।

দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু রাসায়নিক পদার্থের নিঃসরণ এবং আগুনের তীব্রতার কারণে তাদের উদ্ধারকার্যে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়। আগুনের কারণে রাস্তা দিয়ে যাওয়া-আসা করা যাত্রীরাও ভয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটে যান।

দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ীর অবস্থা গুরুতর

গাজিয়াবাদের তুরার নগর বাজারের চার ব্যবসায়ী—আশু, মনু, সুমিত এবং ঋষি—খাটু শ্যামজির দর্শনে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় সকল ব্যবসায়ী তাদের গাড়িতে ছিলেন। হঠাৎ ট্রাকটিতে আগুন লেগে যাওয়ার এবং গাড়িটি তাতে আটকে পড়ার কারণে আশু এবং মনু ঘটনাস্থলেই মারা যান।

সুমিত এবং ঋষিকে অবিলম্বে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাক্তারদের মতে, দুজনের অবস্থাই গুরুতর এবং তাদের চিকিৎসা চলছে। পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে দুর্ঘটনার কারণে শোক ও ভয়ের পরিবেশ বিরাজ করছে।

দুর্ঘটনার কারণ

প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, জয়পুরের দিক থেকে আসা রাসায়নিক ভর্তি একটি ট্রাক ডিভাইডারের সাথে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যাওয়ার ফলে তাতে আগুন লেগে যায়। ট্রাকে থাকা রাসায়নিক পদার্থ ছড়িয়ে পড়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং রাস্তায় আসা-যাওয়া করা গাড়িগুলোর জন্য গুরুতর বিপদ সৃষ্টি করে।

দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি সেই আগুনের গ্রাসে পড়ে যায় এবং দেখতে দেখতে পুরো গাড়িটি আগুনের গোলা হয়ে ওঠে। আগুন নেভানোর জন্য দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়া হয় এবং তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

দুর্ঘটনার পর প্রশাসন বাড়িয়েছে নিরাপত্তা

দুর্ঘটনার পর পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন অবিলম্বে রাস্তা বন্ধ করে দেয় এবং আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন যে ট্রাক ও গাড়ি চালকের নিরাপত্তা এবং রাসায়নিক বহনকারী যানের উপর নজরদারির জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সড়ক দুর্ঘটনায় রাসায়নিক পদার্থ বহন করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। প্রশাসনের উচিত এই যানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর নিয়মাবলী চালু করা, যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনায় প্রাণহানি বা সম্পত্তি নষ্ট না হয়।

Leave a comment