রবার্ট ভদ্রের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় আদালতের নোটিশ

রবার্ট ভদ্রের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় আদালতের নোটিশ

দিল্লির একটি আদালত ব্যবসায়ী এবং কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রের স্বামী রবার্ট ভদ্র এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের অর্থ পাচারের একটি মামলায় নোটিশ জারি করেছে। আদালত শনিবার এই নোটিশ জারি করে, যাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮শে আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে।

নয়াদিল্লি: কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রের স্বামী এবং ব্যবসায়ী রবার্ট ভদ্রের আইনি জটিলতা ক্রমাগত বাড়ছে। অর্থ পাচার মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কর্তৃক দাখিল করা চার্জশিটের পর, এখন দিল্লির একটি আদালত ভদ্র সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের নোটিশ জারি করেছে। আদালত এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২০২৫ সালের ২৮শে আগস্ট নির্ধারণ করেছে।

পুরো ঘটনাটি কী?

এই মামলাটি গুরুগ্রামের শিহোখপুর গ্রামের জমি চুক্তি সংক্রান্ত। ইডি-র अनुसार, রবার্ট ভদ্র তাঁর সংস্থা স্কাইলাইট হসপিটালিটি প্রাইভেট লিমিটেডের মাধ্যমে ২০০৮ সালে ওঙ্কারেশ্বর প্রপার্টিজ প্রাইভেট লিমিটেডের থেকে প্রায় ৩.৫ একর জমি মাত্র ৭.৫ কোটি টাকায় কিনেছিলেন। মজার বিষয় হল, জমি কেনার কিছু সময় পরেই তৎকালীন হরিয়ানা সরকার এর মধ্যে ২.৭ একর জমিকে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়। 

এর পরে, এই জমি প্রায় ৫৮ কোটি টাকায় ডিএলএফ-এর কাছে বিক্রি করা হয়। এই লেনদেনে ভদ্র মাত্র চার মাসে প্রায় ৫০ কোটি টাকা লাভ করেছিলেন।

कोर्टের नोटिस এবং চার্জশিটের গুরুত্ব

রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট কর্তৃক জারি করা নোটিশের উদ্দেশ্য হল, অভিযুক্তদের সুযোগ দেওয়া যাতে তারা আদালতের মামলাটি আমলে নেওয়ার আগে নিজেদের বক্তব্য পেশ করতে পারে। ইডি কর্তৃক দাখিল করা চার্জশিটে রবার্ট ভদ্র সহ তিনজন ব্যক্তি এবং আটটি কোম্পানিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আদালত এজেন্সিকেও চার্জশিটের কপি সমস্ত অভিযুক্তদের সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছে। যদি আদালত চার্জশিট অনুমোদন করে, তাহলে ভদ্র এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ দ্রুত হতে পারে।

এই মামলাটি শুধু রবার্ট ভদ্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে গত তিন মাসে এটি দ্বিতীয় চার্জশিট। এর আগে ১৭ই এপ্রিল ন্যাশনাল হেরাল্ড মানি লন্ডারিং মামলায় সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে নিয়ে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল। এখন রবার্ট ভদ্রের উপর আবারও আইনি চাপ বাড়তে দেখা যাচ্ছে, যা কংগ্রেসের জন্য আসন্ন রাজনৈতিক মরসুমে সংকট তৈরি করতে পারে।

ইডি-র এখন तक की कार्रवाई

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ভদ্র এবং তাঁর সাথে সম্পর্কিত সংস্থাগুলির ৪৩টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে, যার মোট আনুমানিক মূল্য ৩৭ কোটি টাকার বেশি বলা হয়েছে। ইডি-র এই পদক্ষেপটি ২০১৮ সালে গুরুগ্রাম পুলিশ কর্তৃক দায়ের করা একটি এফআইআর-এর পরে শুরু হয়েছিল, যেখানে জমি চুক্তিতে জালিয়াতির অভিযোগ করা হয়েছিল। এছাড়াও, পলাতক আর্মস ডিলার সঞ্জয় ভান্ডারীর সাথে জড়িত মামলাতেও ভদ্রের নাম উঠে এসেছে। 

অভিযোগ করা হয়েছে যে ভান্ডারী ভদ্রকে লন্ডন এবং দুবাইতে সম্পত্তি কিনতে সাহায্য করেছিলেন, যা कथितভাবে প্রতিরক্ষা চুক্তির সাথে जुड़े फायदे के बदले में दी गई थी। এই মামলাটিও বর্তমানে তদন্তের আওতায় রয়েছে এবং যদি এতেও অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে ভদ্রের আইনি জটিলতা কয়েকগুণ বাড়তে পারে।

Leave a comment