MSCB घোটালারে NCP বিধায়ক রোহিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে ED-র তরফে মানি লন্ডারিং আইনের অধীনে একটি সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এর আগে তাঁর কোম্পানির ৫০ কোটির বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
Maharashtra: মহারাষ্ট্র স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাংক (MSCB) ঘোটালার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে NCP (শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী)-র বিধায়ক রোহিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন (PMLA), ২০০২-এর অধীনে একটি সম্পূরক চার্জশিট পেশ করেছে। এই চার্জশিট মুম্বাইয়ের বিশেষ PMLA আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। যদিও আদালত এখনও পর্যন্ত বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেনি।
চার্জশিটের আগে সম্পত্তি অ্যাটাচমেন্ট
চার্জশিট পেশ করার আগে, ED রোহিত পাওয়ারের কোম্পানি বারামতি অ্যাগ্রোর ৫০.২০ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছিল। মার্চ ২০২৩-এ হওয়া এই অ্যাটাচমেন্টের মধ্যে ঔরঙ্গাবাদের কানাড় অঞ্চলে অবস্থিত ১৬১.৩০ একর জমি, একটি চিনি কল, যন্ত্রপাতি এবং ভবন অন্তর্ভুক্ত ছিল।
জানুয়ারি ২০২৩-এ ED-র তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ
জানুয়ারি ২০২৩-এ, ED রোহিত পাওয়ারের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়েছিল। এর মধ্যে বারামতি অ্যাগ্রোর অফিস এবং তার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য স্থানও ছিল। এরপর কারজাত-জামখেড়ের বিধায়ক রোহিত পাওয়ারকে ED-র মুম্বাই অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়।
সম্পত্তি ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ
ED-র বক্তব্য অনুযায়ী, বারামতি অ্যাগ্রো যে সম্পত্তিগুলি কিনেছিল, সেগুলি মূলত কানাড় কো-অপারেটিভ সুগার ফ্যাক্টরি লিমিটেড (Kannad SSK)-এর ছিল। এই সম্পত্তিগুলি কেনার প্রক্রিয়াটি একটি তথাকথিত জাল নিলামের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছিল। ED-র মতে, এই প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছতা থেকে দূরে ছিল এবং এতে নিয়মকানুন লঙ্ঘন করা হয়েছে।
MSCB-র ভূমিকা এবং ED-র তদন্ত
ED-র তদন্ত অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা (EOW), মুম্বাই দ্বারা আগস্ট ২০১৯-এ দায়ের করা FIR-এর উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। সেই FIR-এ অভিযোগ করা হয়েছিল যে MSCB-র আধিকারিক এবং ডিরেক্টররা ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যক্তিগত কোম্পানিকে খুব কম দামে বেশ কয়েকটি কো-অপারেটিভ চিনি কল বিক্রি করেছে। এই বিক্রিগুলি যথাযথ প্রক্রিয়া এবং নিয়মমাফিক মূল্যায়নকে উপেক্ষা করে করা হয়েছিল।
২০০৯ সালের নিলাম নিয়ে প্রশ্ন
ED তাদের চার্জশিটে জানিয়েছে যে MSCB ২০০৯ সালে কানাড় SSK-এর ৮০.৫৬ কোটি টাকার বকেয়া আদায়ের জন্য তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। এর পরে, একটি সন্দেহজনক মূল্যায়নের ভিত্তিতে কম রিজার্ভ প্রাইস নির্ধারণ করে নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। ED-র অভিযোগ, এই নিলামটি ছিল দুর্নীতিপূর্ণ।
সবচেয়ে বেশি দরদাতাকে বাতিল করা হয়
তদন্তকারী সংস্থার মতে, নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতাকে দুর্বল যুক্তিতে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। এর বিপরীতে, বারামতি অ্যাগ্রোর সঙ্গে যুক্ত একজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি, যাঁর আর্থিক সক্ষমতা বা অভিজ্ঞতা, কিছুই স্পষ্ট ছিল না, তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
এখনও পর্যন্ত ১২১.৪৭ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত
ED-এর মতে, এই মামলায় এখন পর্যন্ত তিনবার প্রভিশনাল অ্যাটাচমেন্টের নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশের অধীনে মোট ১২১.৪৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ED জানাচ্ছে যে এই অ্যাটাচমেন্টগুলিকে এখন চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করা হয়েছে এবং সম্পূরক চার্জশিটও আদালতে পেশ করা হয়েছে।
বিশেষ আদালতে পরবর্তী শুনানির অপেক্ষা
এই মামলাটি এখন মুম্বাইয়ের বিশেষ PMLA আদালতে বিচারাধীন। আদালত আগামী শুনানিতে সিদ্ধান্ত নেবে যে চার্জশিট গ্রহণ করা হবে কিনা। ED জানিয়েছে, মামলার তদন্ত এখনও চলছে এবং এতে অন্যান্য পক্ষের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।