কলকাতা অগ্নিকাণ্ড: সোমবার সকালেই সন্তোষপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রথমে একটি দোকানে আগুন লাগলেও মুহূর্তের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের ঝুপড়ি ও দোকানে। দাহ্য পদার্থে তৈরি কাঠামো থাকায় আগুন আরও তীব্র হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো একটি দোকানের গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ফলে মোট ১২টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। আগুনের কারণে বজবজ-শিয়ালদহ লাইনে ট্রেন দেরিতে চলছে, ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা।
আগুন লাগার মুহূর্ত
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, সকাল বেলায় আচমকাই ধোঁয়া বের হতে দেখা যায় একটি দোকান থেকে। স্থানীয়রা বালতি-বালতি জল নিয়ে ছুটে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে না। উল্টে মুহূর্তের মধ্যে লেলিহান শিখায় পুড়ে যেতে থাকে দোকান ও ঝুপড়ি। আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু হয় স্টেশন চত্বরে।
দমকলের তৎপরতা
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল বাহিনীর দুটি ইঞ্জিন। তারা আগুন নেভাতে সর্বশক্তি নিয়োগ করে। যদিও আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে সহজে তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। দমকল প্রাথমিকভাবে মনে করছে, কোনো একটি দোকানের গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যাওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১২টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। দোকানগুলির বেশিরভাগই দাহ্য পদার্থে তৈরি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে প্রায় সবকিছুই ভস্মীভূত হয়েছে। তবে স্বস্তির খবর, এ ঘটনায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
রেল চলাচলে প্রভাব
স্টেশন লাগোয়া এলাকায় আগুন লাগার কারণে বজবজ-শিয়ালদহ লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। দেরিতে ট্রেন ঢুকছে প্ল্যাটফর্মে, অনেক ক্ষেত্রেই গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে যাত্রীদের মধ্যে চরম ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। প্ল্যাটফর্ম জুড়ে ভিড় জমে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
কলকাতার সন্তোষপুর স্টেশন চত্বর ঘিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। মুহূর্তে আগুনে ভস্মীভূত হয় ১২টি দোকান। ঘটনাস্থলে দমকলের দুটি ইঞ্জিন পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বজবজ-শিয়ালদহ লাইনে ট্রেন চলাচলে বড় প্রভাব পড়েছে। যদিও হতাহতের কোনো খবর নেই, তবুও আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে।