প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের শেষকৃত্যে রাষ্ট্রীয় সম্মান না দেওয়া নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস সাংসদ দীপেন্দ্র সিং হুডা। তিনি সরকারের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক ঐতিহ্যকে অবজ্ঞা করার অভিযোগ করেছেন।
নয়াদিল্লি: প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের মৃত্যুর পর তাঁর শেষকৃত্যে রাষ্ট্রীয় সম্মান না দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। রোহতকের কংগ্রেস সাংসদ দীপেন্দ্র সিং হুডা এই বিষয়টি সংসদে জোরালোভাবে উত্থাপন করেন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক ঐতিহ্যকে অবজ্ঞা করার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, প্রাক্তন রাজ্যপালের মতো সম্মানজনক পদে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে এই ধরনের আচরণ নিন্দনীয়।
সংসদে উঠল ইস্যু, সরকারের প্রতি নিশানা
কংগ্রেসের वरिष्ठ नेता এবং রোহতকের সাংসদ दीपेंद्र সিং হুডা এই मुद्देটি সংসদে জোরালোভাবে উত্থাপন করেন। তিনি সরকারের কাছে এই প্রশ্ন রাখেন যে কেন একজন প্রাক্তন রাজ্যপালকে শেষ বিদায়ে সরকারি প্রোটোকল এবং সম্মান দেওয়া হয়নি? তিনি এটিকে একটি নিন্দনীয় উদাহরণ উল্লেখ করে বলেন, 'এটি দুঃখের বিষয় যে সত্যপাল মালিকের মতো वरिष्ठ और अनुभवी ব্যক্তিকে সরকার শুনেও না শোনার ভান করেছে।'
দীপেন্দ্র হুডা এই বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়াতেও তুলে ধরেছেন। তিনি এক্স (পূর্বে টুইটার) এ লিখেছেন:
'আজ আমি প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক জি-কে তাঁর শেষকৃত্যের সময় সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় সম্মান না দেওয়ার বিষয়টি দেশের সবচেয়ে বড় পঞ্চায়েতে উত্থাপন করেছি। দুঃখের বিষয় যে বিজেপি সরকার এটি শুনেও না শোনার ভান করেছে।'
লোকসভায় জানানো হল শ্রদ্ধা, কিন্তু উঠল প্রশ্ন
৫ আগস্ট সত্যপাল মালিক দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে মারা যান। তাঁর বয়স ৭৯ বছর ছিল এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা তাঁর মৃত্যুতে শোকবার্তা পাঠ করেন এবং সাংসদরা दिवंगत আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নীরবতা পালন করেন। এই শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পরই দীপেন্দ্র হুডা এই বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং সরকারের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
সত্যপাল মালিকের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক অবদান
সত্যপাল মালিক একজন वरिष्ठ রাজনীতিবিদ এবং অভিজ্ঞ প্রশাসক ছিলেন। তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন, যার মধ্যে বিহার, গোয়া, মেঘালয় এবং জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল পদ অন্তর্ভুক্ত। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের শেষ পূর্ণকালীন রাজ্যপাল ছিলেন, যখন রাজ্যটির বিশেষ মর্যাদা (অনুচ্ছেদ ৩৭০) বাতিল করা হয়েছিল। এই সংবেদনশীল সময়ে তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়েছিল।
তিনি कई बार সরকারের নীতিগুলোর ওপরও সোচ্চার হয়ে মতামত রেখেছেন, বিশেষ করে কৃষি আইন এবং জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। তিনি এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন যিনি ক্ষমতার ভেতরে থেকেও स्वतंत्र চিন্তার জন্য পরিচিত ছিলেন।
রাষ্ট্রীয় সম্মান না দেওয়া: শুধু ভুল নাকি ইচ্ছাকৃত উপেক্ষা?
এই ঘটনা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে এটা কি শুধু একটি প্রশাসনিক ভুল ছিল, নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে এমন করা হয়েছে? विपक्ष এটিকে রাজনৈতিক বিদ্বেষের ফল বলছে, जबकि सरकार की ओर से अब तक কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
দীপেন্দ্র হুডা এবং কংগ্রেস পার্টির বক্তব্য হল, যখন সংবিধান দ্বারা प्रदत्त एक उच्च পদে থাকা ব্যক্তিকে এই সম্মান দেওয়া হয় না, তখন এটা কেবল उस ব্যক্তির অপমান নয় बल्कि গণতান্ত্রিক मर्यादाओं का भी उल्लंघन। उन्होंने सरकार से इस मामले में জবাবদিহি तय करने और भविष्य में ऐसी घटनाओं से बचने की मांग की है।
রাজনৈতিক আবহে উত্তাপ
এই ইস্যুতে অন্যান্য বিরোধী দলগুলোও কেন্দ্র সরকারের প্রতি निशाना করেছে। कई नेताओं ने कहा कि विचारधाराएं अलग हो सकती हैं, लेकिन किसी व्यक्ति के योगदान और गरिमा का सम्मान राजनीतिक मतभेदों से ऊपर होना चाहिए। যদি একজন প্রাক্তন রাজ্যপালের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করা যেতে পারে, তবে এটি গণতন্ত্রের জন্য একটি উদ্বেগজনক संकेत।