মধ্যপ্রদেশের শাহগড়ে মেয়ে উত্যক্ত করা নিয়ে তীর-ধনুকের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, গুরুতর আহত ২

মধ্যপ্রদেশের শাহগড়ে মেয়ে উত্যক্ত করা নিয়ে তীর-ধনুকের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, গুরুতর আহত ২

মধ্যপ্রদেশের শাহগড়ে আদিবাসী এলাকায় একটি মেয়েকে উত্যক্ত করা নিয়ে তীর-ধনুকের সাহায্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে। দুজন যুবক গুরুতর আহত হয়েছিলেন এবং নাক ও গাল কাটার পর হাসপাতালে পৌঁছান। পুলিশ মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।

সাগর: মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার শাহগড় তহসিলে আদিবাসী গৌড় সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি বিবাদ তীর-ধনুকের সাহায্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে। ঘটনাটি একটি মেয়েকে উত্যক্ত করা নিয়ে শুরু হয়েছিল, কিন্তু চোখের পলকে লড়াইটি ভয়াবহ রূপ নেয়। এই সময় তীর দ্বারা অনেকের নাক, গাল এবং কান কেটে যায়, যাদের তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শাহগড়ে পারিবারিক বিবাদ থেকে শুরু হওয়া ঝগড়া

পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, ঘটনাটি শাহগড় তহসিলের ভগতসিং ওয়ার্ডে সকালে ঘটে। আদিবাসী গৌড় সম্প্রদায়ের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে একটি পরিবারের মেয়েকে উত্যক্ত করা নিয়ে বিবাদ হয়। মেয়েটির মামা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন, কিন্তু অন্যদিকে থেকে লোকজন লড়াই করার জন্য এগিয়ে আসে।

শুরুটা হয়েছিল কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি দিয়ে, কিন্তু উত্তেজনা বাড়তেই এক পক্ষ তীর-ধনুক বের করে ফেলে। গাছপালা ও দেয়ালের আড়াল থেকে তীর ছোড়ার পালা শুরু হয়, যার ফলে ঝগড়া আরও হিংস্র হয়ে ওঠে।

তীর-ধনুক থেকে গুরুতর আঘাত

ধনুক-তীরের আক্রমণে অনেকে গুরুতর আহত হন। দুজন যুবক সবচেয়ে বেশি আঘাত পেয়েছিলেন—একজনের নাক কেটে গিয়েছিল এবং অন্যজনের গালে তিনটি গভীর ক্ষত হয়েছিল। আরও কয়েকজন আঘাত নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছান। সকল আহতদের শাহগড় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।

স্থানীয় লোকজন এবং ডাক্তাররা জানিয়েছেন যে, তীর-ধনুক দ্বারা সৃষ্ট ক্ষত দেখে সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। আধুনিক যুগে এমন হামলার কথা শুনে স্বাস্থ্যকর্মীরাও হতবাক হয়ে যান। ডাক্তাররা বলেন যে এটি একটি বিরল এবং গুরুতর ঘটনা, যেখানে আহতদের অবিলম্বে চিকিৎসা করা অপরিহার্য ছিল।

পুলিশের পদক্ষেপ ও তদন্ত

ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পুরো এলাকায় উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করে। পুলিশ ঝগড়ায় জড়িত ব্যক্তিদের জবানবন্দি নথিভুক্ত করে এবং আহতদের কাছ থেকে তথ্য নেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন যে, এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনায় অপরাধী এবং ভুক্তভোগী উভয় পক্ষকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর পাশাপাশি, এলাকায় শান্তি বজায় রাখার জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে।

Leave a comment