শনিদেবের অশুভ প্রভাব নিয়ে মানুষের ভয় চিরকালীন। বলা হয়, শনির সাড়ে সাতি বা ঢাইয়া এলে জীবনে আসে নানা বাধা, অশান্তি এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি। তবে পুরাণে ও জ্যোতিষশাস্ত্রে এর প্রতিকারও উল্লেখ আছে। বিশ্বাস করা হয়, হনুমানজির আশীর্বাদে শনির কুপ্রভাব অকার্যকর হয়ে যায়। পানপাতার সঙ্গে যুক্ত একটি বিশেষ প্রতিকার গ্রহণ করলে ভক্তরা মুক্তি পান শনির অভিশাপ থেকে।
সূর্য-পুত্র শনিকে পরাস্ত করেছিলেন হনুমান
ধর্মীয় কাহিনি অনুযায়ী, সূর্যদেবের শিষ্য হনুমান একসময় সূর্য-পুত্র শনিকে যুদ্ধে পরাস্ত করেছিলেন। শুধু তাই নয়, রাবণের কারাগার থেকে শনিসহ নবগ্রহকে মুক্ত করেছিলেন হনুমান। সেই থেকে বিশ্বাস জন্মায়—যিনি হনুমানের উপাসনা করেন, তাঁর জীবনে শনির প্রভাব কার্যকর হয় না।
পানপাতার বিশেষ গুরুত্ব
দেওঘরের জ্যোতিষী পণ্ডিত নন্দকিশোর মুদগল জানিয়েছেন, শুভ কাজে পানপাতার গুরুত্ব অপরিসীম। মঙ্গলবার ও শনিবার ভক্তরা যদি পাঁচটি পানপাতায় অষ্টগন্ধা চন্দন দিয়ে 'ওঁ হ্রম হনুমতে নমঃ' মন্ত্র লিখে হনুমানজিকে অর্পণ করেন, তবে শনির কুপ্রভাব কমতে শুরু করে।
পূজার রীতি ও প্রতিকার
এই প্রতিকারের সঙ্গে ভক্তদের পঞ্চোপচার পদ্ধতিতে হনুমানজির পূজা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১০৮ বার হনুমান চালিশা পাঠ এবং লাড্ডু বা গুড়-ছোলা অর্পণ করলে হনুমানজি সন্তুষ্ট হন বলে বিশ্বাস। এর ফলে ভক্তদের জীবনের নানা দুঃখ-কষ্ট ও রোগ-ত্রুটি দূর হয়।
ভক্তদের জন্য শুভ বার্তা
জ্যোতিষীদের মতে, যে ভক্তরা আন্তরিকভাবে এই প্রতিকার পালন করবেন, তাঁদের জীবনে শুধু শনির প্রভাবই কমবে না, বরং আটকে থাকা কাজও সফল হবে। পাশাপাশি আর্থিক উন্নতি, পারিবারিক শান্তি এবং মানসিক প্রশান্তি ফিরে আসবে।শনিদেবের অভিশাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার সহজ উপায় হিসেবে পানপাতার এই প্রতিকার যুগ যুগ ধরে ভক্তদের মধ্যে প্রচলিত। বিশ্বাসীরা মনে করেন, হনুমানজিকে খুশি করতে পারলেই জীবনের অশান্তি ও শনির অশুভ ছায়া দূর হবে।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে শনিদেবের সাড়ে সাতি ও ঢাইয়া জীবনে নিয়ে আসে দুঃখ-কষ্ট ও আর্থিক সংকট। তবে ধর্মীয় বিশ্বাস বলছে, হনুমানজিকে সন্তুষ্ট করলে শনির প্রভাব কার্যকর হয় না। বিশেষভাবে পানপাতার প্রতিকার মেনে চললে মিলতে পারে জীবনের অশান্তি থেকে মুক্তি।