সংসদে পহেলগাম হামলা নিয়ে আলোচনায় শশী থারুরকে সুযোগ না দেওয়ায় বিতর্ক

সংসদে পহেলগাম হামলা নিয়ে আলোচনায় শশী থারুরকে সুযোগ না দেওয়ায় বিতর্ক

সংসদে পহেলগাম হামলা এবং অপারেশন সিন্দুর নিয়ে আলোচনায় কংগ্রেস শশী থারুরকে বলার সুযোগ দেয়নি। থারুরের নীরবতা এবং তালিকা থেকে বাদ পড়া রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নয়া দিল্লি: সংসদের বাদল অধিবেশনে পহেলগাম জঙ্গি হামলা এবং ভারতের প্রত্যাঘাতমূলক অপারেশন সিন্দুর নিয়ে বিশেষ আলোচনার সম্মতি হয়। এমন পরিস্থিতিতে আশা করা গিয়েছিল যে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরকে বলার সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু কংগ্রেস যখন তাদের ছয় জন নেতার তালিকা প্রকাশ করে, তখন সেখানে থারুরের নাম ছিল না। এই বিষয়ে মিডিয়া যখন তাঁকে প্রশ্ন করে, তখন তিনি শুধুমাত্র মুচকি হেসে বলেন- “মৌন ব্রত, মৌন ব্রত” এবং आगे চলে যান।

কংগ্রেস যে ছয় জন নেতাকে বেছে নিয়েছে

কংগ্রেস পার্টি এই বিশেষ আলোচনার জন্য যে ছয় জন সাংসদকে বেছে নিয়েছে, তাঁদের মধ্যে গৌরব গগৈ, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা, দীপেন্দ্র হুডা, প্রণীতী এস শিন্ডে, সপ্তগিরি উলাকা এবং বিজেন্দ্র এস ওলার নাম রয়েছে। এই নেতারা সংসদে দলের হয়ে কথা বলার জন্য পরিচিত এবং অনেকবার গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কংগ্রেসের কন্ঠস্বর হয়েছেন।

থারুরের বাদ পড়া কেন অপ্রত্যাশিত

শশী থারুর সংসদের পরিচিত বক্তাদের মধ্যে অন্যতম বলে মনে করা হয়। তাঁর বক্তৃতা দেওয়ার ধরণ, বিদেশনীতির উপর দখল এবং বিশ্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি অনেকবার কংগ্রেসকে শক্তি জুগিয়েছে। এমন স্পর্শকাতর এবং কৌশলগত বিষয়ে তাঁর নীরবতা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অবাক করেছে। তাঁর বাদ পড়া কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

অপারেশন সিন্দুর এবং থারুরের ভূমিকা

সম্প্রতি পাকিস্তানের কার্যকলাপের জবাবে ভারত কর্তৃক পরিচালিত অপারেশন সিন্দুর নিয়ে দেশ জুড়ে রাজনৈতিক ঐক্য এবং সামরিক সাফল্যের কথা বলা হচ্ছিল। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের ভাবমূর্তি মজবুত করার জন্য সরকার থারুরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলকে আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশে পাঠিয়েছিল। তা সত্ত্বেও যখন কংগ্রেস এই একই বিষয়ে সংসদে বলার জন্য নাম ঠিক করে, তখন থারুরের নাম তালিকা থেকে উধাও হয়ে যায়।

Leave a comment