শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর পর ভগবান শ্রী কৃষ্ণের ষষ্ঠী উৎসব পালিত হয়। ২০২৫ সালে এটি ২১শে আগস্ট, বৃহস্পতিবার পালিত হবে। এই দিনে বাল গোপালের পূজা ও স্নানের সাথে মাথন মিশ্রী, পঞ্জিরি, পঞ্চামৃত, মাখানার ক্ষীর এবং কढ़ी চালের ভোগ অবশ্যই নিবেদন করা হয়।
নয়া দিল্লী: শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর ছয় দিন পর ভগবান শ্রী কৃষ্ণের ষষ্ঠী উৎসব পালিত হয়। ২০২৫ সালে এই উৎসব ২১শে আগস্ট, বৃহস্পতিবার পালিত হবে। এই দিনে বাল গোপালের স্নান করিয়ে পূজা-অর্চনা করা হয় এবং তাঁকে মাথন মিশ্রী, পঞ্জিরি, পঞ্চামৃত, মাখানার ক্ষীর এবং কढ़ी চালের ভোগ নিবেদন করা হয়। পূজার শুভ মুহূর্ত ব্রহ্ম মুহূর্ত ০৪:২৬ থেকে ০৫:১০ পর্যন্ত থাকবে, এছাড়াও অন্যান্য মুহূর্তগুলোও সারা দিন বিশেষ মান্য।
বাল গোপালের ষষ্ঠীর তারিখ
২০২৫ সালে শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী ১৬ই আগস্ট পালিত হয়েছিল। এর ছয় দিন পর, অর্থাৎ ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে ভগবান বাল গোপালের ষষ্ঠী পালিত হবে। এইবার এই উৎসব ২১শে আগস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবারের দিন পালিত হবে। ষষ্ঠীর দিনে ভগবানের বিশেষ স্নান ও পূজা-অর্চনার আয়োজন করা হয়। এই দিনে माता-पिता তাদের বাড়িতে বাল গোপালকে স্নান করান এবং তাঁকে ভগবানের প্রিয় ভোগ নিবেদন করেন।
ষষ্ঠীর দিনে পূজনের মাহাত্ম্য
ভগবানের ষষ্ঠীর উৎসব শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় পরম্পরা নয়, বরং এটি বাচ্চাদের এবং পরিবারের সুখ-সমৃদ্ধির জন্যও খুব শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিনে বাল গোপালকে বিশেষভাবে সাজানো হয় এবং তাঁর পূজা বাড়িতে অথবা মন্দিরে করা হয়। मान्यता है कि এই দিনে নিবেদন করা ভোগ ও পূজার ফলে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি আসে এবং ভগবানের কৃপা বজায় থাকে।
পূজার শুভ মুহূর্ত
বাল গোপালের ষষ্ঠীর দিনে পূজার অনেক শুভ মুহূর্ত মানা হয়। माता-पिता और भक्त এই মুহূর্তগুলি অনুসরণ করে পূজা করেন। এই বছরের প্রধান মুহূর্তগুলি এই প্রকার:
- ব্রহ্ম মুহূর্ত: ০৪:২৬ থেকে ০৫:১০
- অভিজিৎ মুহূর্ত: ১১:৫৮ থেকে ১২:৫০
- বিজয় মুহূর্ত: ০২:৩৪ থেকে ০৩:২৬
- গোধূলি মুহূর্ত: ০৬:৫৪ থেকে ০৭:১৬
- সায়াহ্ন সন্ধ্যা: ০৬:৫৪ থেকে ০৮:০০
- অমৃত কাল: ০৫:৪৯ থেকে ০৭:২৪
- নিশিতা মুহূর্ত: ১২:০২ থেকে পরের দিন ১২:৪৬ পর্যন্ত
এই মুহূর্তগুলিতে ভগবানের পূজা ও ভোগ নিবেদন করলে অধিক ফল পাওয়া যায়।
বাল গোপালের ভোগ
বাল গোপালের ষষ্ঠীতে ভগবানের প্রিয় ভোগ নিবেদন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই দিনে বাল কৃষ্ণকে বিশেষভাবে মাথন মিশ্রী ভোগ নিবেদন করা হয়। এটি তাঁর অতি প্রিয় ব্যঞ্জনগুলির মধ্যে অন্যতম। এর সাথে পঞ্জিরির ভোগও নিবেদন করা যেতে পারে, যা বাচ্চাদের স্বাস্থ্য এবং পরিবারের সমৃদ্ধির প্রতীক বলে মনে করা হয়।
ভক্ত এই দিনে পঞ্চামৃতের ভোগও নিবেদন করেন। পঞ্চামৃতে দুধ, দই, ঘি, মধু এবং শর্করার মিশ্রণ থাকে। এছাড়াও মাখানার ক্ষীর এবং কढ़ी চালও ভগবানকে নিবেদন করা হয়। मान्यता है कि এই ভোগগুলি নিবেদন করলে ঘরে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে।
ষষ্ঠীর দিনে পূজার বিধি
বাল গোপালের ষষ্ঠীর দিনে বিশেষভাবে কিছু ধর্মীয় ক্রিয়া করা হয়। এর মধ্যে প্রধান रूप से বাল গোপালকে স্নান করানো, তাঁর বস্ত্র পরিবর্তন করা এবং তাঁকে গহনা দিয়ে সাজানো অন্তর্ভুক্ত। এরপর পূজা স্থলে প্রদীপ জ্বালিয়ে ভগবানের আরতি করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস যে ষষ্ঠীর দিনে করা এই পূজা ভগবানের বিশেষ কৃপা নিয়ে আসে এবং পরিবারে সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায়।
কেন ষষ্ঠী পালিত হয়
শ্রী কৃষ্ণ জন্মের পর ষষ্ঠীর উৎসব পালনের পরম্পরা বহু বছর ধরে চলে আসছে। এটিকে বিশেষভাবে বাল গোপালের শৈশবের স্মরণে পালন করা হয়। এই দিনে ভগবানের প্রিয় ভোগ নিবেদন করে এবং তাঁর পূজা করার ফলে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি আসে। একই সাথে বাচ্চাদের স্বাস্থ্য এবং ঘরের খুশহালির জন্যেও এই দিনের গুরুত্ব রয়েছে।