BJP রাজনীতি: সামনেই ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নবান্ন অভিযানে একাধিক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন, যেখানে রাজ্য স্তরের অন্যান্য নেতাকে দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য শুভেন্দুর লড়াই ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি বাংলার বিজেপিতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত হতে পারে। রাজ্য কমিটি গঠন নিয়ে চলমান জটিলতার প্রেক্ষাপটে এই প্রশংসা দলের অভ্যন্তরে নতুন আলোচনা শুরু করেছে।
নবান্ন অভিযানের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
নবান্ন অভিযানে শুভেন্দুর সঙ্গে কৌস্তুভ বাগচী, অগ্নিমিত্রা পল এবং অশোক দিন্দা ছিলেন। তবে বড় সংখ্যক রাজ্য নেতাকে দেখা যায়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, শুভেন্দুর নেতৃত্বে দলের বাইরে থাকা সদস্যদেরও মনোযোগ আকৃষ্ট হচ্ছে।
রাজ্য কমিটি গঠন নিয়ে জটিলতা
শমীক ভট্টাচার্য এখনও রাজ্য কমিটি ঘোষণা করেননি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পার্টি রাজনৈতিক দল এবং রাস্তায় সক্রিয়। পার্টি নিজস্ব সিদ্ধান্তে রাজ্য কমিটি গঠন করবে। তবে অভ্যন্তরে বিভিন্ন মতানৈক্য থাকায় গঠন প্রক্রিয়া ধীরে চলছে।
শুভেন্দুর ভূয়সী প্রশংসা
শমীক বলেন, "বিরোধী দলনেতাকে দেখুন, তিনি মানুষের দাবিকে সামনে রেখে লড়াই করছেন। তাঁর এই লড়াই প্রশংসার যোগ্য।" এর মাধ্যমে শমীক দলের অভ্যন্তরে শুভেন্দুর প্রভাব ও নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষণ
রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, শুভেন্দুর নেতৃত্ব ও শমীকের সমর্থনের সমন্বয় কি নতুন সমীকরণ তৈরি করতে চলেছে? ভোটের আগে দলের অভ্যন্তরে শক্তি ভারসাম্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা যাচাই করা হচ্ছে।
নবান্ন অভিযানের পর শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য স্তরের বড় নেতাদের ছাড়াই রাস্তায় ছিলেন। বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য তাঁর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। রাজ্য কমিটি গঠন নিয়ে চলমান জটিলতার মধ্যে এই প্রশংসা রাজনৈতিক মহলে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দিয়েছে।