রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, আগামী ১ এপ্রিল ২০২৫ থেকে সোনার পাশাপাশি রুপো বন্ধক রেখে লোন নেওয়া যাবে। দেশের সমস্ত ব্যাংক ও নন-ব্যাংক ফিনান্স সংস্থার জন্য এই নিয়ম কার্যকর হবে। রুপোর বাড়ন্ত দামের বাজারে এবার রুপোও হয়ে উঠছে সোনার বিকল্প বিনিয়োগ ও আর্থিক সুরক্ষার মাধ্যম।

রুপোর দাম বাড়ায় উৎসাহ, এবার বন্ধকেও রুপো
গত এক বছরে সোনার তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বেশি হারে বেড়েছে রুপোর দাম। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ব্যবহারে রুপোর চাহিদা বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক—এই দুইয়ের মিলেই রুপো এখন বাজারের নতুন আকর্ষণ। এতদিন সোনা বন্ধক দিয়ে লোন পাওয়া গেলেও, রুপো বন্ধক নেওয়ার নিয়ম ছিল না। এবার সেই খামতি পূরণ করতে উদ্যোগী হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
কীভাবে মিলবে সিলভার লোন
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সর্বাধিক ১০ কেজি রুপোর গয়না বন্ধক রাখা যাবে। রুপোর কয়েনের ক্ষেত্রে সীমা নির্ধারিত হয়েছে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত। তবে রুপোর বার বা বুলিয়ান বন্ধক রাখা যাবে না। এই লোন হবে স্বল্পমেয়াদি, অর্থাৎ এক বছরের মধ্যেই তা শোধ করতে হবে। ব্যাঙ্কগুলিতে এই নির্দেশ ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

গোল্ড লোনের ক্ষেত্রেও বড় পরিবর্তন
এপ্রিল থেকে সোনার লোনেও নতুন নিয়ম আসছে। এখন পর্যন্ত বন্ধক রাখা সোনার মূল্যের ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত লোন পাওয়া যেত, এবার তা বাড়িয়ে ৮৫ শতাংশ করা হচ্ছে। তবে গ্রাহক সর্বাধিক আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত গোল্ড লোন নিতে পারবেন, সোনার পরিমাণ যতই থাকুক না কেন।
ঋণ পরিশোধে দেরি হলে জরিমানা
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়ে দিয়েছে, ঋণ পরিশোধের সাত দিনের মধ্যেই গ্রাহককে তাঁর বন্ধক রাখা সোনা বা রুপো ফেরত দিতে হবে। এর বেশি দেরি হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককে প্রতিদিন ৫,০০০ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। যদি কেউ সময়মতো ঋণ শোধ করতে না পারেন, তাহলে ব্যাঙ্ক নোটিস দিয়ে বন্ধকী সোনা বা রুপো নিলাম করতে পারবে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই পদক্ষেপে দেশের মধ্যবিত্ত ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনই রুপোর বাজারও আরও সক্রিয় হবে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। রুপো এখন শুধু গয়না নয়—বিপদের সময়ে হাতিয়ারও বটে।
 
                                                                        
                                                                             
                                                












