রুদ্রপ্রয়াগের মহিলারা দিনের বেলা পরিবার সামলান এবং রাতে বন্যপ্রাণী থেকে ফসল রক্ষা করেন। চিতাবাঘ, ভাল্লুক এবং শূকর থেকে ফসল বাঁচাতে তাদের সাহস ও পরিশ্রম প্রশংসনীয়।
দু্মকা: ঝাড়খণ্ডের দু্মকা জেলায় এক ১২ বছর বয়সী ছেলে মায়ের কাছে স্মার্টফোন চেয়ে না পাওয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি মথাকেশো গ্রামে বৃহস্পতিবার ঘটে। শিশুটির মা এবং প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন যে সে পড়াশোনা এবং অন্যান্য কাজের জন্য স্মার্টফোন চেয়ে বায়না করত, কিন্তু আর্থিক অনটনের কারণে মা তার চাহিদা পূরণ করতে পারেননি। এই ঘটনাটি শিশুদের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইসের প্রতি ক্রমবর্ধমান আকাঙ্ক্ষা এবং এর সম্ভাব্য বিপদগুলিকে আবার সামনে এনেছে।
স্মার্টফোনের বায়নার জেরে নাবালকের আত্মহত্যা
সারাইয়াহাট থানার অন্তর্গত মথাকেশো গ্রামের বাসিন্দা ১২ বছর বয়সী শিশুটির মা বদ্রিকা দেবী জানিয়েছেন যে তার ছেলে প্রায়ই স্মার্টফোন দেওয়ার জন্য বায়না করত। বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল থেকে ফেরার পর শিশুটি আবার মায়ের কাছে স্মার্টফোন চায়। মা তার সীমিত সামর্থ্যের কারণে তার চাহিদা পূরণ করতে পারেননি। এরপর তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয় এবং বদ্রিকা দেবী মাঠে কাজে চলে যান।
দুপুরে যখন তিনি বাড়ি ফেরেন, তখন তিনি দেখতে পান যে তার ছেলে বাড়ির কাঁচা ছাদ থেকে ফাসিতে ঝুলছে। এই দৃশ্য দেখে মা সম্পূর্ণ হতবাক হয়ে যান এবং চিৎকার করেন। প্রতিবেশীরা তৎক্ষণাৎ পুলিশকে খবর দেন এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পরিবারের আর্থিক অবস্থা
পুলিশি তদন্তে আরও জানা গেছে যে মৃত শিশুটির বাবা বেঙ্গালুরুতে চুক্তি শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন এবং সেখান থেকে পাঠানো মজুরির উপর পরিবারের খরচ চলে। পরিবারের সীমিত আর্থিক অবস্থা এবং আধুনিক গ্যাজেটের প্রতি শিশুদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা এই দুঃখজনক ঘটনার জন্ম দিয়েছে।
থানা प्रभारी রাজেন্দ্র যাদব জানিয়েছেন যে প্রাথমিক তদন্তে পরিবার এবং প্রতিবেশীদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। আপাতত, পুলিশ এই ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে নথিভুক্ত করে মামলার তদন্ত করছে।
শিশুদের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইসের আসক্তি
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্মার্টফোন আজকাল শিশুদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। পড়াশোনা, বিনোদন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার উপর শিশুদের নির্ভরতা দ্রুত বেড়েছে। তবে, যখন আর্থিক কারণ বা পারিবারিক নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের চাহিদা পূরণ হয় না, তখন শিশুরা মানসিক চাপ এবং অবসাদে চলে যায়।
মনোবিজ্ঞানী ডঃ রীনা বর্মা বলেন, "স্মার্টফোন এবং অন্যান্য ডিজিটাল গ্যাজেটগুলি শিশুদের মধ্যে খুব দ্রুত আসক্তি তৈরি করতে পারে। যদি এটি তাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বস্তুতে পরিণত হয় এবং পিতামাতারা তা পূরণ করতে না পারেন, তবে শিশুরা হতাশ এবং মানসিকভাবে চাপগ্রস্ত হতে পারে। পিতামাতাদের উচিত শিশুদের সাথে যোগাযোগ বাড়ানো এবং তাদের অনুভূতি বোঝা।"