ডিভিশন বেঞ্চে স্বস্তি পেল রাজ্য

ডিভিশন বেঞ্চে স্বস্তি পেল রাজ্য
সর্বশেষ আপডেট: 30-11--0001

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চে এসএসসি নিয়োগ নিয়ে চলা আইনি লড়াইয়ে বড় জয় পেল রাজ্য। নতুন নিয়োগ বিধির একাংশে আদালতের সীলমোহর পড়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে নবান্ন।এই রায়ের ফলে রাজ্য সরকার তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নতুনভাবে শুরু করতে আরও এক ধাপ এগোল। নিয়োগ সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা খানিকটা কাটল।

অতিরিক্ত ১০ নম্বর ও বয়স ছাড়ের অনুমোদন

আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্য সরকার যে অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল, তা গ্রহণযোগ্য। সেইসঙ্গে বয়স ছাড়ের ক্ষেত্রেও আদালতের সম্মতি মিলেছে।অনেক চাকরিপ্রার্থী যাঁদের বয়স বা নম্বরজনিত সীমাবদ্ধতা ছিল, তাঁদের জন্য এই রায় কার্যত আশীর্বাদ।

নতুন বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের মামলা খারিজ

নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে কিছু প্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে—শুধুমাত্র যোগ্য প্রার্থীরাই এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন, অযোগ্যদের কোনও অধিকার নেই। এটি রাজ্যের যুক্তিকে আরও মজবুত করল। চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে যাঁরা ইতিমধ্যে মানদণ্ডে উত্তীর্ণ, তাঁদের জন্য পথ প্রশস্ত হলো।

একক বেঞ্চের রায় বহাল ডিভিশন বেঞ্চে

বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের একক বেঞ্চ যে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন, সেই রায়ই ডিভিশন বেঞ্চে বহাল রইল। কোনও পরিবর্তন বা সংশোধন আনা হয়নি।এতে বোঝা গেল যে নিম্ন আদালতের যুক্তিই আইনের চোখে গ্রহণযোগ্য ছিল। এই ধারাবাহিকতা আইনি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা প্রমাণ করে।

'দাগি' প্রার্থীদের জন্য আদালতের স্পষ্ট বার্তা

আদালত জানিয়ে দিয়েছে, যাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বা অনিয়ম রয়েছে, অর্থাৎ 'দাগি' প্রার্থীরা এই নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। এই সিদ্ধান্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নৈতিকতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

যোগ্যতামান ও নম্বরবিন্যাস অপরিবর্তিত

ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ন্যূনতম যোগ্যতামান এবং নম্বরের বিন্যাস যেভাবে নির্ধারিত হয়েছে, সেটাই বহাল থাকবে। এতে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে পরিষ্কার বার্তা গেল যে, নিয়ম বদলানো হবে না, স্বচ্ছভাবে হবে নিয়োগ।

রাজ্যের পক্ষে 'বড় জয়' বলে দাবি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের

রায়ের পর রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটা রাজ্যের বড় জয়! সুপ্রিম কোর্ট কোথাও বলেনি ২০১৬ সালের নিয়মেই নিয়োগ করতে হবে। আদালত অবান্তর দাবি মানেনি, গত ৯ বছরে নতুন যোগ্য প্রার্থীদের কথাও ভাবতে হবে।তাঁর এই মন্তব্যে স্পষ্ট—রাজ্য সরকার নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করে ন্যায্য পথেই এগোচ্ছে, অতীতের সঙ্গে জুড়ে রাখার চাপ অপ্রয়োজনীয়।

Leave a comment