কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ফের উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি করলেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। বৃহস্পতিবার নৈহাটিতে একটি বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করেন। তাঁর দাবি, Bengal Corruption Case: খুব শিগগিরই দুর্নীতির অভিযোগে তাঁদের বাড়িতেও ঢুকবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED ও CBI।
দুর্নীতি ইস্যুতে ফের সরব সুকান্ত মজুমদার
নিয়োগ দুর্নীতি থেকে রেশন কেলেঙ্কারি— একাধিক ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব বিজেপি। সেই ধারাবাহিকতায় নৈহাটির বিক্ষোভ মঞ্চ থেকে সুকান্ত বলেন, “ইডি-সিবিআই ইতিমধ্যেই রাজ্যের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘটনা তার প্রমাণ।” তাঁর দাবি, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেও তদন্ত দ্রুত এগোচ্ছে।
মমতা ও অভিষেককে সরাসরি আক্রমণ
প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ভাবছেন তাঁর দলের সবাই পার পেয়ে যাবেন। কিন্তু এবার তাঁদের বাড়িতেও তদন্তকারী সংস্থা যাবে।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, সভা থেকে ইডি-সিবিআইকে হুমকি দিয়ে লাভ নেই, সময় আসছে— তাঁকেও জবাবদিহি করতে হবে।
বিজেপির কড়া দাবি
সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, রাজ্যের সমস্ত দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত শাসকদলের শীর্ষ নেতারা। বিজেপির দাবি, দ্রুত তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল তদন্ত প্রক্রিয়া ধীর করার চেষ্টা করছে, যাতে বড় নেতারা বাঁচতে পারেন।
রাজ্য-রাজনীতিতে বাড়ছে চাপানউতোর
সুকান্তের এই মন্তব্যে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। রাজনৈতিক মহলের মতে, আসন্ন নির্বাচনের আগে বিজেপি এই ইস্যুকেই মূল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে। তবে এর পাল্টা জবাব কবে দেয় শাসক দল, সেটাই এখন দেখার।
Bengal BJP: নৈহাটির বিক্ষোভ মিছিল থেকে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন কেলেঙ্কারি ও বালি পাচারে জড়িত শাসক দলের বড় নেতাদেরও খুব শিগগিরই তদন্তকারী সংস্থার কবলে পড়তে হবে।