উত্তরপ্রদেশের হাফুর জেলার ধৌলানা তহসিলে বুধবার একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে, যখন ঘুষের অভিযোগে সাসপেন্ড হওয়া লেখক সুভাষ মীনা তহসিল চত্বরে বিষাক্ত পদার্থ পান করেন। এই ঘটনায় পুরো চত্বরে হৈচৈ পড়ে যায়। উপস্থিত কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেয় এবং গুরুতর অবস্থায় লেখককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন তদন্তের নির্দেশ
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সুভাষ মীনাকে ৩ জুন গ্রামবাসীদের কাছ থেকে ভূমি রেকর্ডের বিনিময়ে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগের পর সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তদন্তের পর ৭ জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এই ঘটনার জেরে মানসিক অবসাদে তিনি এই পদক্ষেপ নেন।
ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিষয়টি নজরে আনেন এবং মেরঠ অঞ্চলের বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন। বর্তমানে, লেখকের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে এবং হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
প্রশাসনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
লেখক সুভাষ মীনার বিষ খাওয়ার ঘটনার পর রাজ্যজুড়ে লেখকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। হাফুরের হাসপাতাল চত্বরে লেখক সংঘের সদস্যরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, বিভাগীয় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হচ্ছে না এবং কর্মীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
এদিকে, ক্রমাগত দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় রাজস্ব বিভাগের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। লেখকদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান ব্যবস্থা নেওয়ায় বিভাগে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
গাজিপুরেও জাল সার্টিফিকেট কেলেঙ্কারি
গাজিপুর জেলাতেও লেখকদের যোগসাজশে একটি বড় জালিয়াতির ঘটনা সামনে এসেছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আর্যকা আখাউরি তদন্তের পর ১০ জন লেখককে বরখাস্ত করেছেন। ঘটনাটি জাল আয় প্রমাণপত্র ইস্যু করার সঙ্গে জড়িত, যা সরকারি চাকরি, বিশেষ করে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী পদের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের মতে, লেখকরা দারিদ্র্যসীমার উপরে বসবাসকারী লোকেদের বিপিএল (দারিদ্র্যসীমার নিচে) শ্রেণির জাল সার্টিফিকেট ইস্যু করেছেন। প্রশাসন এমন দশটি মামলার সন্ধান পেয়েছে, যেখানে জাল দলিলের ভিত্তিতে চাকরির জন্য আবেদন করা হয়েছিল।
এই মামলাগুলিতে, বর্তমানে নয়টি নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে এবং পুরো ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে। কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তদন্তে দোষী সাব্যস্তদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।