রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-র নেতা এবং প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব একটি বড় দাবি করে বলেছেন যে বিহারের নতুন ভোটার তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এই বিবৃতির পরে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
Bihar Politics: বিহারের রাজনীতিতে সেই সময় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় যখন রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-র নেতা এবং প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব দাবি করেন যে তাঁর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তেজস্বী যাদব অভিযোগ করেছেন যে ২০২৫ সালে প্রস্তাবিত বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম ড্রাফট তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
যদিও, তেজস্বীর এই গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং তেজস্বী যাদবের দাবিকে "বিভ্রান্তিকর এবং ভিত্তিহীন" বলে অভিহিত করেছে। কমিশন স্পষ্ট করেছে যে তেজস্বী যাদবের নাম ড্রাফট ভোটার তালিকায় ৪১৬ নম্বরে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে।
তেজস্বী যাদবের দাবি
গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এবং এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ পোস্ট করা বিবৃতিতে তেজস্বী যাদব বলেছেন,
'আমার নাম নতুন ভোটার তালিকায় নেই। যদি আমি নিজেই নির্বাচন লড়তে না পারি, তাহলে বিহারের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করব কিভাবে? এটা কি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নয়?'
তেজস্বী আরও দাবি করেন যে বিহারে একটি পরিকল্পিত উপায়ে প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যা বিশেষ শ্রেণি এবং বিরোধী দলগুলির ক্ষতি করবে।
নির্বাচন কমিশনের কঠোর খণ্ডন
তেজস্বী যাদবের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করেছে। কমিশন বলেছে:
'আমাদের নজরে এসেছে যে শ্রী তেজস্বী যাদব দাবি করেছেন যে তাঁর নাম বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করতে চাই যে এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর। তাঁর নাম ড্রাফট লিস্টে ৪১৬ নম্বরে নথিভুক্ত আছে।'
কমিশন আরও বলেছে যে তেজস্বী কর্তৃক প্রদত্ত ইপিআইসি নম্বর সম্পর্কিত ত্রুটিটি প্রযুক্তিগত হতে পারে, তবে এটি প্রমাণ করে না যে তাঁর নাম তালিকা থেকে গায়েব হয়ে গেছে।
বিশেষ নিবিড় পুনরীক্ষণ অভিযান (এসআইআর) এবং ড্রাফট লিস্ট
বিহারের ভোটার তালিকা আপডেট করার জন্য নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) অভিযান চালায়। এই প্রক্রিয়াটি এক মাস ধরে চলেছিল, যার অধীনে ভোটারদের তাদের নাম নিশ্চিত করার, সংশোধন করার এবং নতুন নাম যুক্ত করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। ২৮ জুলাই প্রকাশিত খসড়া তালিকাটিতে અત્યાર સુધીর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। কমিশন জনগণের কাছে আবেদন করেছে যে যদি কারও কোনো ভুল মনে হয় তবে তারা ৩১ আগস্ট ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আপত্তি জানাতে পারে।
তেজস্বী যাদবের এই বিবৃতিতে বিহারের রাজনীতিতে উত্তাপ বেড়েছে। যেখানে আরজেডি সমর্থকরা এই বিবৃতিকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন, সেখানে বিজেপি এবং জেডিইউ নেতারা এটিকে "রাজনৈতিক নাটক" বলে অভিহিত করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তেজস্বী যাদব इस तरह के बयान से आगामी নির্বাচনে নিজেকে पीड़ित দেখিয়ে রাজনৈতিক সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করতে পারেন।