তামাক পণ্যে ৪০% জিএসটি সত্ত্বেও সিগারেট কোম্পানিগুলির শেয়ারের দাম বৃদ্ধি

তামাক পণ্যে ৪০% জিএসটি সত্ত্বেও সিগারেট কোম্পানিগুলির শেয়ারের দাম বৃদ্ধি

তামাক পণ্যের উপর ৪০% জিএসটি থাকা সত্ত্বেও আইটিসি, গডফ্রে ফিলিপস এবং ভিএসটি ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। জিএসটি কাউন্সিল স্পষ্ট করেছে যে বিদ্যমান ২৮% জিএসটি এবং ক্ষতিপূরণ শুল্ক ততক্ষণ পর্যন্ত বহাল থাকবে যতক্ষণ না বকেয়া ঋণ পরিশোধ করা হয়। এর ফলে সিগারেট কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আইটিসি শেয়ারের দাম: জিএসটি কাউন্সিলের তামাক পণ্যের উপর স্পষ্টতার পর আইটিসি, গডফ্রে ফিলিপস এবং ভিএসটি ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের দাম বেড়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর আইটিসি-র শেয়ার ৩% এর বেশি বেড়ে ৪২৭ টাকায় পৌঁছেছে। বিদ্যমান ২৮% জিএসটি এবং ক্ষতিপূরণ শুল্ক ততক্ষণ পর্যন্ত প্রযোজ্য থাকবে যতক্ষণ না বকেয়া ঋণ পরিশোধ করা হয়, যার পরে সংশোধিত ৪০% জিএসটি কার্যকর হবে। এই পদক্ষেপে তামাক সেক্টরে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে।

জিএসটি কাউন্সিল স্পষ্ট করেছে

যদিও, সম্প্রতি জিএসটি কাউন্সিল তামাক পণ্যের উপর কর কাঠামো নিয়ে স্পষ্টতা দিয়েছে। কাউন্সিল বলেছে যে বিদ্যমান ২৮ শতাংশ জিএসটি এবং ক্ষতিপূরণ শুল্কের কাঠামো ততক্ষণ পর্যন্ত বহাল থাকবে যতক্ষণ না বকেয়া ক্ষতিপূরণ-সংক্রান্ত ঋণ সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ করা হয়। এর পরেই খুচরা বিক্রয় মূল্য (RSP) ভিত্তিক সংশোধিত ৪০ শতাংশ জিএসটি স্ল্যাব কার্যকর করা হবে।

এই স্পষ্টতার পর বিনিয়োগকারীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন এবং সিগারেট কোম্পানিগুলোর শেয়ারে তেজি ভাব দেখা গেছে। শেয়ার বাজারে আইটিসি, গডফ্রে ফিলিপস এবং ভিএসটি ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের দাম বেড়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়িয়েছে।

তামাক কোম্পানিগুলোর জন্য সুসংবাদ

বাজার বিশেষজ্ঞ অম্বরীশ বালিগা মনে করেন যে এই পদক্ষেপ তামাক কোম্পানিগুলোর জন্য ইতিবাচক। তিনি বলেন যে বর্তমানে তামাক ও সিগারেটের উপর ২৮ শতাংশ জিএসটি এবং শুল্কের মোট পরিমাণ ৫০-৫৩ শতাংশ। মার্চ ২০২৬ এর পর যদি ক্ষতিপূরণ শুল্ক আদায় সম্পূর্ণ হয়, তবে তা আর কার্যকর হবে না। এই পরিস্থিতিতে ৪০ শতাংশের সংশোধিত জিএসটি হারে আর কোনো অতিরিক্ত শুল্ক লাগবে না, যা সিগারেট সেক্টরের জন্য একটি শুভ ইঙ্গিত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই স্পষ্টতা কোম্পানিগুলোর আর্থিক অনুমান সঠিক ভাবে তৈরি করতেও সাহায্য করবে। এখন বিনিয়োগকারীরা জানতে পারবেন যে করের হার কোন রূপে কার্যকর থাকবে এবং এর উপর ভিত্তি করে শেয়ারের দাম নির্ধারিত হতে পারে।

সিগারেট কোম্পানিগুলোর বাজার পারফরম্যান্স

ভারতে সিগারেট উৎপাদনকারী বড় কোম্পানিগুলোর মধ্যে আইটিসি, গডফ্রে ফিলিপস এবং ভিএসটি ইন্ডাস্ট্রিজ অন্যতম। জিএসটি হার নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে এই কোম্পানিগুলোর শেয়ারে পূর্বে পতন দেখা গিয়েছিল। কিন্তু জিএসটি কাউন্সিলের স্পষ্টতার পর শেয়ার বাজারে তেজি ভাব দেখা গেছে এবং বিনিয়োগকারীরা স্বস্তি পেয়েছেন।

বিশেষ করে আইটিসি-র শেয়ার ৪ সেপ্টেম্বর ৩ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি রেকর্ড করেছে। গডফ্রে ফিলিপস এবং ভিএসটি ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারেও একই রকম তেজি দেখা গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে বিনিয়োগকারীরা এখন এই কোম্পানিগুলোর শেয়ারকে আকর্ষণীয় বলে মনে করছেন।

জিএসটি সংস্কারের প্রভাব

সিগারেট কোম্পানিগুলোর শেয়ারের উপর জিএসটি সংস্কারের সরাসরি প্রভাব পড়েছে। ৪০ শতাংশ করের খবর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করছিল। কিন্তু কাউন্সিলের স্পষ্টতা থেকে জানা গেছে যে বর্তমান কাঠামো ততক্ষণ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে যতক্ষণ না বকেয়া ক্ষতিপূরণের পরিমাণ সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ করা হয়। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা আত্মবিশ্বাসের সাথে শেয়ারে বিনিয়োগ করেছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সিগারেট সেক্টরে কর কাঠামোয় স্থিতিশীলতা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত। এটি কেবল কোম্পানিগুলোর রাজস্ব পরিকল্পনা সহজ করবে না, বাজারেও স্থিতিশীলতা আনবে।

তামাক শিল্পের অবস্থা

ভারতে তামাক শিল্প বেশ বড়। এর মধ্যে সিগারেট, গুটখা এবং অন্যান্য তামাক পণ্য অন্তর্ভুক্ত। এই পণ্যগুলোর উপর করের হার সবসময়ই আলোচনার বিষয় ছিল। বিগত কিছু সময় ধরে জিএসটি এবং শুল্ক নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা ছিল, যার ফলে শেয়ারের দাম প্রভাবিত হয়েছিল।

কিন্তু এখন জিএসটি কাউন্সিল স্পষ্টতা প্রদান করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়িয়েছে। শিল্প বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ তামাক পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর জন্য ইতিবাচক হবে এবং বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে এসে শেয়ার কিনতে পারেন।

Leave a comment