উমারিয়ার সিঙ্গেল টোলা রেলওয়ে ক্রসিং-এ পিডিএস বোঝাই একটি ট্রাকের এক্সেল ভেঙে যায়, যার ফলে ট্রাকটি লাইনে আটকে পড়ে। বেশ কয়েকটি ট্রেন এবং সড়ক চলাচল ব্যাহত হয়, তবে গেটম্যানের সতর্কতার কারণে একটি বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
উমারিয়া: মধ্যপ্রদেশের উমারিয়া জেলায় সিঙ্গেল টোলা রেলওয়ে ক্রসিং-এ বৃহস্পতিবার একটি ট্রাক আটকে পড়ার ফলে রেল ও সড়ক চলাচল ব্যাহত হয়। তবে, গেটম্যানের সতর্কতার কারণে ট্রেন সময়মতো থামানো হয় এবং কোনও প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হয়। এই ঘটনাটি রেল সুরক্ষা ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন তুলেছে। ট্রাকটি লাইনে আটকে পড়ার ফলে বেশ কয়েকটি ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে এবং যাত্রীরা ঘন্টার পর ঘন্টা দুর্ভোগ পোহান।
ট্রাক আটকে যাওয়ায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেল
পিডিএস-এর গম বোঝাই একটি ট্রাক (MP 17 NH 2822) উমারিয়ার দিকে যাওয়ার সময় সিঙ্গেল টোলা রেলওয়ে ক্রসিং-এ পৌঁছায়। হঠাৎ ট্রাকটির সামনের চাকা এবং এক্সেল ভেঙে যায়, যার ফলে ট্রাকটি লাইনে আটকে পড়ে। ঠিক সেই সময় গেটম্যান ট্রেন আসার খবর পান। গেটম্যান অবিলম্বে স্টেশন মাস্টারকে খবর দেন এবং ট্রেনটিকে থামিয়ে দেন, ফলে একটি বড় দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
এই ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি, তবে ট্রাকটি আটকে পড়ার কারণে রেল লাইন ঘন্টার জন্য বন্ধ ছিল। রাস্তায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয় এবং আশেপাশের এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। গেটম্যানের সতর্কতা এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
রেল কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ
ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে রেল কর্মকর্তা, জিআরপি এবং আরপিএফ সবাই ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা একটি ক্রেনের সাহায্যে ট্রাকটিকে সরিয়ে লাইনের বাইরে নিয়ে যান। এই সময়ে সিঙ্গেল টোলা ক্রসিং-এ রেল চলাচল ব্যাহত হয় এবং বেশ কয়েকটি ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রেল কর্তৃপক্ষ সিগন্যাল লাল করে দেয়, যার ফলে কোনও বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
ট্রাক সরানোর পরেও লাইনে স্বাভাবিক চলাচল ফিরিয়ে আনতে রেল কর্তৃপক্ষের সময় লেগেছিল। রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে ট্রেন আটকে থাকা নিয়ম অনুযায়ী একটি বড় ত্রুটি, তবে এবার গেটম্যানের সতর্কতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ট্রেন আটকে থাকার ঘটনাটি রেল সুরক্ষা ব্যবস্থার উপর গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
ট্রাক আটকে যাওয়ায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ
ট্রাকটি আটকে যাওয়ার কারণে বেশ কয়েকটি ট্রেনকে মাঝপথে থামাতে হয়। যাত্রীরা ঘন্টার পর ঘন্টা রেলস্টেশনে এবং ট্রেনে আটকে ছিলেন। অনেক যাত্রী স্টেশন থেকে নেমে কর্মকর্তাদের কাছে তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা রেল প্রশাসনের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ করেন।
যাত্রীরা আরও বলছেন যে সিঙ্গেল টোলা রেলওয়ে ক্রসিং একটি অত্যন্ত ব্যস্ত রাস্তা। প্রতিদিন এখানে প্রচুর পণ্যবাহী ট্রেন এবং যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। এই ধরনের ঘটনায় যাত্রী ও পরিবহন ব্যবস্থা উভয়ই প্রভাবিত হয়।
রেলওয়ে ক্রসিং-এ সুরক্ষার গুরুতর অভাব
উমারিয়া জেলায় কাটনি-বিলাসপুর রেলপথে ট্রেনের গতি এবং সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। তা সত্ত্বেও, এই রুটে কোনও ওভারব্রিজ বা আন্ডারব্রিজ নেই। জাতীয় এবং রাজ্য সড়কের কাছেও রেল এখনও কোনও কাঠামোগত সমাধান করেনি।
সুরক্ষার এই অভাবের কারণে প্রায়শই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ট্রাক আটকে যাওয়ার মতো ঘটনা প্রতিরোধের জন্য অবিলম্বে ওভারব্রিজ বা আন্ডারব্রিজ নির্মাণ এবং ক্রসিং-এর নিরাপত্তা বাড়ানো প্রয়োজন। এতে ভবিষ্যতে বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কমবে।