দমন-দিউয়ের সাংসদ উমেশ প্যাটেল লোকসভায় কক্ষের নিষ্ক্রিয়তার জন্য সাংসদদের বেতন এবং ভাতা কাটার দাবি জানিয়েছেন। সংসদ চত্বরে ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদ করে জনগণের অর্থের সাশ্রয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন।
নয়া দিল্লি। দমন এবং দিউয়ের নির্দল সাংসদ উমেশ প্যাটেল সংসদ ভবন চত্বরে প্রতিবাদ করে দাবি করেছেন যে, যদি কক্ষের কাজকর্ম না হয়, তাহলে সাংসদদের বেতন এবং ভাতা বন্ধ করা উচিত। তিনি বলেন, যখন পর্যাপ্ত আলোচনা ছাড়াই বিল পাশ করা হয় এবং কক্ষে হট্টগোল বেশি থাকে, তখন এটা জনগণের অর্থের অপচয়।
লোকসভায় কম সময়ে আলোচনা
লোকসভার এই অধিবেশনে মোট ১২০ ঘণ্টা আলোচনার জন্য নির্ধারিত ছিল, কিন্তু কেবল ৩৭ ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ সময় অপারেশন সিন্দুর এবং অন্যান্য বিল নিয়ে হট্টগোলে কেটে গেছে। অধিকাংশ বিল পর্যাপ্ত পর্যালোচনা এবং বিতর্ক ছাড়াই পাশ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি দেখে উমেশ প্যাটেল সাংসদদের দায়িত্ব এবং বেতন কাটার দাবি তুলেছেন।
উমেশ প্যাটেলের প্রতিবাদ
সাংসদ উমেশ প্যাটেল সংসদ চত্বরে ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। ব্যানারে লেখা ছিল, "মাফ চাও, শাসক দল এবং বিরোধী দল মাফ চাও"। তিনি বলেন, যদি কক্ষ না চলে, তাহলে এর খরচ সাংসদদের পকেট থেকে আদায় করা উচিত। তাঁর বক্তব্য ছিল, জনগণের অর্থ এভাবে অকারণে খরচ করার কোনো প্রয়োজন নেই।
উমেশ প্যাটেল কী বলেছেন
উমেশ প্যাটেল স্পষ্ট করে বলেছেন যে, সাংসদদের বেতন তখনই পাওয়া উচিত যখন কক্ষে কাজ হয়। তিনি বলেন, "যদি কক্ষে আলোচনা না হয় এবং বিল বিনা পর্যালোচনায় পাশ হয়ে যায়, তাহলে এর খরচ জনগণ কেন বহন করবে? এটা সাংসদদের বেতন এবং ভাতা থেকে কাটা উচিত।"
আগেও একই ধরনের দাবি তুলেছিলেন
প্রায় দুই সপ্তাহ আগে উমেশ প্যাটেল একই ধরনের দাবি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, কক্ষ না চললে সাংসদদের ভাতা দেওয়া উচিত নয়। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, শাসক এবং বিরোধী উভয়ের ইগোর কারণে কক্ষের কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য ছিল, যখন জনগণের কাজ হচ্ছে না, তখন সাংসদদের ভাতা কেন জারি থাকবে।
সংসদের কাজকর্ম নিয়ে উদ্বেগ
সংসদে অধিকাংশ সময় হট্টগোল, বিতর্ক এবং বাগ্বিতণ্ডায় কেটে যায়। এতে শুধু আইন তৈরির প্রক্রিয়া ধীর হয় তাই নয়, জনগণের প্রত্যাশা পূরণও হয় না। উমেশ প্যাটেলের বক্তব্য, এমন পরিস্থিতিতে সাংসদদের বেতন এবং ভাতা কাটা জনগণের বিশ্বাস পুনরুদ্ধারের একটি উপায় হতে পারে।
সাংসদদের বেতন এবং ভাতা সংসদের নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। উমেশ প্যাটেল বলেছেন যে, নিয়মে পরিবর্তন করে এটা নিশ্চিত করা যেতে পারে যে, কক্ষের নিষ্ক্রিয়তার সময় সাংসদদের বেতনে कटौती হোক। এতে সাংসদদের মধ্যে দায়িত্ববোধ বাড়বে এবং কক্ষে কাজকর্ম সময় মতো শেষ হবে।