উত্তর প্রদেশে ৬৯,০০০ শিক্ষক নিয়োগে সংরক্ষিত শ্রেণীর প্রার্থীরা মৌলিক শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করে ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন। প্রার্থীদের অভিযোগ, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে এবং সরকার সুপ্রিম কোর্টে তাদের পক্ষ রাখছে না, যার কারণে তাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য হতে হয়েছে।
উত্তর প্রদেশ: ইউপি ৬৯,০০০ শিক্ষক নিয়োগ বিতর্ক: উত্তর প্রদেশের মৌলিক শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে ১৮ই আগস্ট, ২০২৫ তারিখে আরক্ষিত শ্রেণীর কয়েকশ প্রার্থী ইউপি ৬৯,০০০ শিক্ষক নিয়োগ বিতর্ক নিয়ে জোরদার বিক্ষোভ দেখান। প্রার্থীদের অভিযোগ, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে এবং সরকার সুপ্রিম কোর্টে তাদের পক্ষ রাখছে না। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা পোস্টার ও ব্যানার নিয়ে ন্যায়বিচারের দাবি জানান এবং স্পষ্ট করে বলেন যে তারা বিজেপির সমর্থক, কিন্তু তাদের সাথে অবিচার করা হচ্ছে।
ইউপি মন্ত্রীর বাসভবনে প্রার্থীদের জোরদার বিক্ষোভ
উত্তর প্রদেশে ৬৯,০০০ শিক্ষক নিয়োগে সংরক্ষিত শ্রেণীর প্রার্থীরা সোমবার, ১৮ই আগস্ট মৌলিক শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করেন। প্রার্থীরা জোরদার শ্লোগান দিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান। তাদের অভিযোগ, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে, যার কারণে হাজার হাজার সংরক্ষিত শ্রেণীর প্রার্থী চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল এবং উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি দেখা যায়।
ধরনা কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা বলেন, মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন এবং সরকার সুপ্রিম কোর্টে তাদের পক্ষ জোরালোভাবে উপস্থাপন করছে না। এই অবহেলার কারণেই তাদের রাস্তায় নেমে নিজেদের আওয়াজ তুলতে হয়েছে। প্রার্থীরা দাবি জানান, সরকার যেন সুপ্রিম কোর্টে তাদের শক্তিশালী সমর্থন করে এবং দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে।
সরকারের উপর অভিযোগ এবং কোর্টে মামলা
ধরনার নেতৃত্ব দেওয়া অমরেন্দ্র প্যাটেল জানান, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া ২০১৮ সালে শুরু হয়েছিল। হাইকোর্ট ১৩ই আগস্ট ২০২৪ তারিখে সংরক্ষিত শ্রেণীর প্রার্থীদের পক্ষে রায় দেয় এবং তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
কিন্তু সরকার এখনও পর্যন্ত সেই আদেশ পালন করেনি। এই কারণে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে। প্রার্থীদের বক্তব্য, সরকারের অবহেলার কারণে ন্যায়বিচার পেতে দেরি হচ্ছে এবং তারা ক্রমাগত মানসিক ও সামাজিক চাপের মধ্যে রয়েছেন।
বিক্ষোভ এবং সমর্থন
শত শত প্রার্থী পোস্টার, ব্যানার এবং যোগী আদিত্যনাথের সমর্থনে অসংখ্য পোস্টার নিয়ে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। তারা স্পষ্ট করে বলেন যে তাদের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের নির্দেশে কাজ করার অভিযোগ আনা হচ্ছে, যেখানে তারা বিজেপির সমর্থক।
প্রার্থীরা জোর দিয়ে বলেন যে তারা ন্যায়বিচার চান এবং সরকারের কাছে অনুরোধ করেন সুপ্রিম কোর্টে যেন তাদের শক্তিশালী সমর্থন করা হয়। তাদের বক্তব্য, আরক্ষিত শ্রেণীর হাজার হাজার প্রার্থীর চাকরি নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।