UP-তে सपा PDA ভবন খুলে পূর্বাঞ্চলে তাদের প্রভাব মজবুত করেছে। বিজেপি এখন এই ন্যারেটিভের মোকাবিলা করার পথ খুঁজছে। প্রশ্ন হল, পরবর্তী প্রদেশ সভাপতি কি পূর্বাঞ্চল থেকে হবেন?
UP রাজনীতি: উত্তর প্রদেশের রাজনীতি আজকাল নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে। একদিকে, সমাজবাদী পার্টির (সপা) প্রধান অখিলেশ যাদব PDA (পশ্চাৎপদ, দলিত, সংখ্যালঘু) কার্ডের মাধ্যমে পূর্বাঞ্চলে তাদের রাজনৈতিক প্রভাব বাড়াতে ব্যস্ত, অন্যদিকে বিজেপি এখন সেই কার্ডের মোকাবিলা করার পথ খুঁজছে। প্রশ্ন হল, বিজেপি কি পরবর্তী প্রদেশ সভাপতি পূর্বাঞ্চল থেকে নির্বাচন করে রাজনৈতিক ভারসাম্য আনবে?
বিজেপিতে নতুন প্রদেশ সভাপতির খোঁজ জোরদার
বিজেপিতে প্রদেশ সভাপতির পদের জন্য আলোচনা জোরেশোরে চলছে। বর্তমান প্রদেশ সভাপতি ভূপেন্দ্র সিং চৌধুরীর মেয়াদ শেষ হয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর, দল এখন ২০২৭ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতিতে লেগেছে। এই কৌশল অনুসারে, প্রদেশের সংগঠনকে নতুন করে শক্তিশালী করা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে, নতুন সভাপতির নির্বাচনে বেশ কয়েকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। প্রথমত সামাজিক ভারসাম্য, দ্বিতীয়ত আঞ্চলিক প্রতিনিধিত্ব এবং তৃতীয়ত বিরোধী দলের কৌশলের মোকাবিলা। অতীতে বিজেপি ওবিসি (OBC) মুখদের উপর আস্থা রেখেছে। কেশব প্রসাদ মৌর্য এবং স্বতন্ত্র দেব সিং এর উদাহরণ।
পূর্বাঞ্চলে অখিলেশের 'PDA ভবন'-এর চাল
পূর্বাঞ্চলের রাজনীতিতে সমাজবাদী পার্টি এখন একটি বড় চাল চেলেছে। আজমগড়ে অখিলেশ যাদব 'PDA ভবন'-এর উদ্বোধন করেছেন। অখিলেশ এটিকে পূর্বাঞ্চলে দলের সদর দফতর হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও বলেছেন যে, সাইফাইয়ের পরে এটি তাঁর দ্বিতীয় স্থায়ী ঠিকানা হবে।
PDA ভবনের উদ্বোধন কেবল একটি আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান ছিল না। এটি সপার সামাজিক প্রকৌশল কৌশলের প্রতীক। দলের ফোকাস এখন যাদব, কুর্মি, রাজভর, কুশওয়াহা এবং মুসলিম ভোটারদের উপর, যারা পূর্বাঞ্চলে ভাল সংখ্যায় রয়েছেন।
কেন আজমগড় অখিলেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?
রাজনৈতিকভাবে, আজমগড়ের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের গড়, গোরখপুর, যেখানে দক্ষিণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংসদীয় এলাকা, বারাণসী অবস্থিত। এই দুটি শক্তিশালী রাজনৈতিক মেরুর মধ্যে আজমগড়কে সপার শক্ত ঘাঁটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে, সপা আজমগড়ের দুটি আসনেই জিতেছিল এবং সমস্ত ১০টি বিধানসভা আসনে তাদের দখল রয়েছে। এই এলাকাটি সপার জন্য কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখান থেকেই দলটি তাদের 'PDA বনাম BJP' ন্যারেটিভকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
বিজেপির সামাজিক প্রকৌশল এবং সভাপতি নির্বাচন
বিজেপিও এই সামাজিক সমীকরণ বুঝতে পারছে। দল এখন এমন একজন মুখের সন্ধান করছে যা সপার PDA ফর্মুলার মোকাবিলা করতে পারে। বিশেষ করে, পূর্বাঞ্চল থেকে কোনো ওবিসি বা দলিত নেতাকে সভাপতি করে দলটি বিরোধী দলের ন্যারেটিভকে ভারসাম্যপূর্ণ করতে চাইছে।
যদিও, বিজেপিতে সাধারণত নেতৃত্বের নামের ঘোষণা চমকপ্রদ হয়। কখনও কখনও, যে নামগুলি আলোচনায় আসে না, সেই নামগুলিই চূড়ান্তভাবে সামনে আসে। এমন পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত নাম অনুমান করা কঠিন, তবে এটা নিশ্চিত যে, পূর্বাঞ্চল এবার বিজেপির অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে।
২০২৭ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতিতে দলগুলি
২০২৪ সালের নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপি ৩৩টি আসনে জিতেছে। যেখানে ২০১৯ সালে তারা ৬২টি আসন পেয়েছিল। এই পতন বিজেপির জন্য উদ্বেগের বিষয়। এখন দলটি পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ২০২৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে লেগেছে।
সব দল এখন তাদের নিজস্ব সামাজিক প্রকৌশলে ব্যস্ত। সপা যেখানে PDA-এর কৌশল নিয়ে কাজ করছে, সেখানে বিজেপিও একটি নতুন ভারসাম্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই কারণেই সভাপতি নির্বাচন থেকে শুরু করে সংগঠনের প্রতিটি পরিকল্পনা নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হচ্ছে।
আম উৎসব এবং আপনা দলের অসন্তুষ্টি
অন্যদিকে, রাজধানী লখনউয়ে আম উৎসবের পাশাপাশি রাজনৈতিক ঘটনাও আলোচনায় ছিল। সোনেলাল পটেলের জন্মবার্ষিকীতে জন স্বাভিমান দিবসের আয়োজনে আপনা দল (এস)-এর মধ্যে অসন্তুষ্টি দেখা গেছে।
আপনা দল (এস)-এর একটি অংশ আলাদা মোর্চা তৈরি করে অনুষ্ঠান থেকে দূরে ছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দলের প্রধান আশিষ প্যাটেল ইঙ্গিতে বিজেপির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। মনে করা হচ্ছে, আশিষ প্যাটেল মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন।