আগ্রা — বৈষ্ণো দেবীতে ভূমিধসের ঘটনায় এক নারীর একটি পা কেটে গেছে। এর ঠিক পরেই, পরিবারের সদস্যরা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে এবং সরকারি ক্ষতিপূরণের অর্থও নিয়ে নিয়েছে। আহত নারী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বৈষ্ণো দেবীর ভূমিধসে পা কাটার পর স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, ক্ষতিপূরণের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে — মহিলা কমিশনের কাছে কষ্টের কথা জানালেন
আগ্রা — মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ড. ববিতা চৌহানের সামনে উপস্থিত হয়ে একজন দিব্যাঙ্গ নারী তার মর্মান্তিক গল্প বর্ণনা করেছেন। নারীটি জানিয়েছেন যে বৈষ্ণো দেবীর যাত্রার সময় ঘটে যাওয়া ভূমিধসের ঘটনায় তার একটি পা কেটে গিয়েছিল। এই দুর্ঘটনায় তার ১১ মাসের মেয়ে, শাশুড়ি, শ্বশুরসহ চার সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
খবরটি আরও হল যে তার ক্ষতিপূরণের অর্থ স্বামী দ্বারা আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার বিবরণ
ক্ষতিগ্রস্তের নাম মোনা এবং তিনি কুমহারপাড়ার বাসিন্দা।
আগস্ট মাসে তিনি তার পরিবারের সাথে বৈষ্ণো দেবী গিয়েছিলেন, যেখানে ভূমিধস হয়েছিল। এই সময় তার একটি পা কেটে গিয়েছিল।
দুর্ঘটনায় তার মেয়ে (১১ মাসের), শাশুড়ি সুনীতা, শ্বশুর অর্জুন সিং এবং মেয়ে ভাবনার মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার পর স্বামী দীপক ক্ষতিপূরণের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং মোনাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন।
মোনা জানিয়েছেন যে পিত্রালয়ের (বাবা-মায়ের বাড়ির) আর্থিক অবস্থা এত ভালো নয় যে তারা তার ভরণপোষণ করতে পারে।
পদক্ষেপ ও শুনানি
জনশুনানিতে মোনা কাঁদতে কাঁদতে তার নিজের কষ্টের কথা শুনিয়েছেন।
মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন নির্দেশ দিয়েছেন যে মোনাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক, কৃত্রিম পা এবং হুইলচেয়ার দেওয়া হোক।
একই সাথে এও বলা হয়েছে যে মোনার মেয়েকে কন্যা সুমঙ্গলা যোজনায় নথিভুক্ত করা হোক।
অভিযোগে এও বলা হয়েছে যে স্বামী দীপক অন্য এক নারীর সাথে জাল নথি তৈরি করে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন।