বকেয়া DA মেটাতে ২৫% দেওয়ার পরিকল্পনা, বাজার থেকে ৪৩০০ কোটি টাকার ঋণের ভাবনা নবান্নের!

বকেয়া DA মেটাতে ২৫% দেওয়ার পরিকল্পনা, বাজার থেকে ৪৩০০ কোটি টাকার ঋণের ভাবনা নবান্নের!
সর্বশেষ আপডেট: 30-11--0001

শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে বকেয়া DA মেটাতে মরিয়া রাজ্য সরকার

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA)–র ২৫ শতাংশ মেটাতে আপাতত বিকল্প পথ খুঁজছে নবান্ন। সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশের পর তা মেটানো বাধ্যতামূলক হওয়ায়, আদালত অবমাননা এড়াতেই পরিশোধের রূপরেখা তৈরি করছে অর্থ দপ্তর।আদালতের চাপে পড়ে বাধ্যতামূলক DA পরিশোধের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার।

১০ হাজার কোটি টাকার হিসেব, সময়সীমা ৩০ জুন

সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য আগেই জানিয়েছে, বকেয়া DA বাবদ প্রাপ্য টাকার পরিমাণ বিশাল। তার ২৫ শতাংশ মেটাতে রাজ্য সরকারের প্রয়োজন ১০,৪২৫ কোটি টাকা। সেই অর্থ কোথা থেকে আসবে, তা নিয়েই চলছে আলোচনা।৩০ জুনের মধ্যে মেটাতে হবে ১০ হাজার কোটিরও বেশি টাকা, তাই উৎস নিয়ে চিন্তায় অর্থ দপ্তর।

খোলা বাজার থেকে ঋণের পরিকল্পনা—৪৩০০ কোটি টাকার প্রস্তাব

সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার খোলা বাজার থেকে ৪৩০০ কোটি টাকার ঋণ সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঋণপত্র ছাড়ার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা হবে। সেই অর্থ কীভাবে খরচ হবে, তার উপর আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।খোলা বাজার থেকে ঋণ তুলে DA পরিশোধের খরচ সামাল দিতে চাইছে রাজ্য।

বাজেটে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ৮১ হাজার কোটি টাকা, প্রথম কোয়ার্টারে ৪৩০০ কোটি তুলতে সমস্যা নেই

চলতি আর্থিক বছরের বাজেটে বাজার থেকে ৮১ হাজার কোটি টাকা ঋণ তোলার টার্গেট রয়েছে রাজ্যের। অতএব, এপ্রিল-জুন কোয়ার্টারে ৪৩০০ কোটি তুলতে কোনও বড় সমস্যা হবে না বলেই মনে করছে নবান্ন।রাজ্য বাজেটে আগেই নির্ধারিত আছে বিশাল ঋণ তোলার লক্ষ্য, তাই এ পর্যায়ের ঋণ সম্ভাব্য।

DA বাবদ বকেয়া ১১ হাজার ৮৯০ কোটি, পেনশনপ্রাপকদের জন্য আরও ১১ হাজার ৬১১ কোটি!

শুধু কর্মরত কর্মী নয়, অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদেরও প্রাপ্য রয়েছে। এছাড়া শিক্ষক, পুরসভা, পঞ্চায়েত সহ অন্যান্য সংস্থা মিলে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার দাবির পাহাড় দাঁড়িয়ে রয়েছে সরকারের সামনে।সমগ্র বকেয়া অঙ্ক প্রায় ৪০ হাজার কোটির বেশি—রাজ্যের আর্থিক বোঝা অতিমাত্রায় বেড়েছে।

কর্মরতদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে, অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন অ্যাকাউন্টে টাকা ঢালার ভাবনা

জানানো হয়েছে, কর্মরত কর্মীদের DA সরাসরি হ্যান্ডে না দিয়ে জিপিএফে জমা দেওয়ার প্রস্তাব ভাবা হচ্ছে। এতে সরকারের হাতে কিছুটা টাকা আটকে রাখা যাবে। আর অবসরপ্রাপ্তরা টাকা পাবেন পেনশন অ্যাকাউন্টে।সরকারের নগদ চাপ কমাতে জিপিএফে টাকা জমা দেওয়ার কৌশল ভাবা হচ্ছে।

সরকারি নির্দেশিকা এখনও আসেনি, মামলাকারীরা অপেক্ষায়

রাজ্যের পক্ষ থেকে এখনও কোনও সরকারিভাবে নির্দেশিকা প্রকাশ হয়নি। শীর্ষ আদালতে তাদের অবস্থান জানানো হয়েছে ঠিকই, তবে গ্রীষ্মকালীন ছুটির কারণে মামলাকারীরা তার বিস্তারিত জানতে পারেননি।মামলার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সুপ্রিম কোর্টের পুনরায় শুনানির উপর।

Leave a comment