নির্বাচন কমিশন (ECI) বিহারের পর পশ্চিমবঙ্গ-এও ভোটার তালিকা-র বিশেষ গভীর পর্যালোচনা (SIR)-র পরিকল্পনা করেছে। আগস্ট থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে হতে চলা এই সংশোধন নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক এই পর্যালোচনার খবর প্রশাসনকে জানিয়েছে, যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ক্ষুব্ধ এবং আজ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নামতে চলেছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা এবং অভিযোগ
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি নির্বাচন কমিশন বিহারের মতো কোনো পদক্ষেপ পশ্চিমবঙ্গ-এ নেয়, তাহলে দল তার তীব্র বিরোধিতা করবে। তিনি বিজেপির ওপর অভিযোগ করেছেন যে তারা পশ্চিমবঙ্গে তাদের দুর্বল হয়ে যাওয়া রাজনৈতিক অবস্থান বাঁচানোর জন্য ভোটার তালিকায় কারচুপি করার চেষ্টা করছে। ঘোষ বলেন, বিজেপিকে বাংলায় হারের ভয় দেখা দিয়েছে, তাই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে আমাদের ভোটগুলি বাতিল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মমতা ব্যানার্জীর আজকের র্যালি-র প্রধান বিষয় হবে, দেশের অন্যান্য অংশে বাঙালি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এবং বিশেষ গভীর পর্যালোচনার বিরোধিতা করা।
বিজেপির সমর্থন
পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার গভীর পর্যালোচনা নিয়ে রাজ্যের দুই শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক নিশ্চিত করেছেন যে, এক মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে। এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তেতে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বিরোধিতার মধ্যে বিজেপি এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছে। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত সঠিক এবং এটি কার্যকর করা অপরিহার্য। তিনি বলেন, মমতা ব্যানার্জীর জন্য এই প্রক্রিয়াটি কঠিন, কারণ এর ফলে তাঁর তথাকথিত “বহিরাগত ভোটারদের” सफाया হবে। সিনহা আশ্বাস দিয়েছেন যে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।