দিল্লির জামিয়া নগরের একটি বন্ধ ফ্ল্যাটে তিন দিন ধরে এক মহিলার মৃতদেহ পড়ে ছিল। ছেলের উপস্থিতিতেও কোনো সাহায্য করা হয়নি। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
নয়াদিল্লি: দিল্লির জামিয়া নগর এলাকায় একটি বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশি তদন্তে জানা গেছে, মহিলার মৃত্যু দুই থেকে তিন দিন আগে হয়েছিল এবং মৃতদেহটি সেই ফ্ল্যাটেই পড়ে ছিল। এই সময় মহিলার মানসিকভাবে অসুস্থ ছেলেও ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিল, কিন্তু সে কাউকে এই ঘটনার খবর জানায়নি।
ফ্ল্যাটে মিলল মহিলার মৃতদেহ
প্রতিবেশীরা দীর্ঘ সময় ধরে ফ্ল্যাট থেকে কোনো আওয়াজ না পেয়ে পুলিশকে জানায়। খবর পেয়েই পুলিশ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে। ভেতরের অবস্থা দেখে পুলিশও চমকে ওঠে। মহিলার মৃতদেহ ঘরে পড়ে ছিল এবং তার পাশেই তার ছেলেও উপস্থিত ছিল।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে প্রাথমিক তদন্তে মহিলার মৃতদেহ প্রায় ২ থেকে ৩ দিন পুরোনো বলে মনে হচ্ছিল। ফ্ল্যাটের ভেতরে মৃতদেহ পাওয়ার পর এলাকায় ভয় ও শোকের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। স্থানীয় মানুষ এখন এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা করছে।
ছেলের পাশেই পড়ে ছিল মৃতদেহ
তথ্য অনুযায়ী, মহিলার ছেলে মানসিকভাবে অসুস্থ এবং মৃতদেহটি তার পাশেই ঘরে পড়ে ছিল। পুলিশ তদন্ত করছে যে ছেলেটি এই সময়ে কাউকে কেন জানায়নি। কর্মকর্তারা জানার চেষ্টা করছেন যে ছেলের মানসিক অবস্থা এই ঘটনায় কীভাবে প্রভাব ফেলছিল।
ঘটনার পরপরই পুলিশ ফ্ল্যাটটি সিল করে দিয়েছে। প্রতিবেশীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ রোধ করতে ফ্ল্যাটের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে, প্রতিবেশীরাও পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করছেন।
ময়নাতদন্ত ও মেডিকেল পরীক্ষা চলছে
মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। পুলিশ জানিয়েছে যে মহিলার ছেলেকেও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন যে মেডিকেল এবং ফরেনসিক রিপোর্ট আসার পরেই এই মামলার স্পষ্ট তথ্য সামনে আসবে।
পুলিশ ঘটনার সব দিক থেকে তদন্ত করছে। এখনও স্পষ্ট হয়নি যে মহিলার মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল নাকি কোনো অপরাধের কারণে হয়েছে। তদন্তে বাড়ির অন্যান্য সদস্য এবং প্রতিবেশীদেরও বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ
প্রতিবেশীরা বলছেন যে ফ্ল্যাট থেকে দীর্ঘ সময় ধরে কোনো আওয়াজ আসেনি, তবে প্রথম দিকে কেউ এতে মনোযোগ দেয়নি। পুলিশ প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে যাতে মহিলার দৈনন্দিন রুটিন এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা যায়।
পুলিশ কর্মকর্তারা এই বিষয়টির প্রতিও মনোযোগ দিচ্ছেন যে ফ্ল্যাটে মৃত মহিলা এবং তার ছেলের যত্ন কে করত। প্রতিবেশী এবং পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই পরবর্তী তদন্তে নতুন দিক পাওয়া যেতে পারে। বর্তমানে, পুরো এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং ফ্ল্যাটটি সম্পূর্ণরূপে সিল করা হয়েছে।