দিল্লিতে যমুনা নদীর জলস্তর বৃদ্ধির ফলে যমুনা ব্যাঙ্ক মেট্রো স্টেশনের রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। DMRC যাত্রীদের জন্য বিকল্প পথ অবলম্বনের পরামর্শ জারি করেছে।
নয়াদিল্লি: দিল্লিতে যমুনা নদীর জলস্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে রাজধানীতে বহু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যমুনা ব্যাঙ্ক মেট্রো স্টেশনে জল পৌঁছে গেছে, যার কারণে DMRC যাত্রীদের সতর্ক থাকতে এবং বিকল্প পথ অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে। তবে মেট্রো স্টেশন চালু আছে এবং ইন্টারচেঞ্জ সুবিধাটিও উপলব্ধ থাকবে।
যমুনা ব্যাঙ্ক মেট্রো স্টেশনের আশেপাশে বন্যা পরিস্থিতি
জলমগ্ন পরিস্থিতির কারণে স্টেশনে পৌঁছানোর রাস্তাগুলি জলে ডুবে গেছে। কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের কাছে আবেদন করেছে যেন তারা বিকল্প পথে যাত্রা করার পরিকল্পনা করে এবং সময়মতো স্টেশনে পৌঁছানোর চেষ্টা করে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অনুসারে, যমুনা ব্যাঙ্ক মেট্রো স্টেশনের চারপাশের রাস্তা এবং ফুটপাথ জলে ডুবে গেছে। ইন্টারচেঞ্জ সুবিধা চালু থাকা সত্ত্বেও, সুরক্ষার কারণে সরাসরি প্রবেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিমান পরিষেবার উপরও আবহাওয়ার প্রভাব
দিল্লিতে অবিরাম বৃষ্টি এবং ফুঁসতে থাকা যমুনা নদীর কারণে বিমান পরিষেবার উপরও প্রভাব পড়েছে। স্পাইসজেট এয়ারলাইন যাত্রীদের তাদের ফ্লাইটের পরিস্থিতি যাচাই করে আপ-টু-ডেট থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
স্পাইসজেট জানিয়েছে যে খারাপ আবহাওয়ার কারণে দিল্লি (DEL) থেকে ছাড়ানো এবং আগত সমস্ত ফ্লাইটে বিলম্ব বা পরিবর্তন সম্ভব। যাত্রীদের এয়ারলাইনের ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যমুনা নদীর জলস্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি
কর্তৃপক্ষ অনুসারে, দিল্লির পুরনো রেলওয়ে ব্রিজে যমুনার জলস্তর সকাল সাতটায় ২০৭.৪৮ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত জলস্তর স্থিরভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফুঁসতে থাকা যমুনার জল পার্শ্ববর্তী নিচু এলাকাগুলিতে ক্রমাগত প্রবেশ করেছে।
বিশেষভাবে, সচিবালয় এলাকা এবং বাসুদেব ঘাটের আশেপাশের অঞ্চলগুলি বন্যার কবলে পড়েছে। কাশ্মীরি গেটের কাছে শ্রী মরঘাটওয়ালে হনুমান বাবা মন্দিরে জল পৌঁছানোর ফলে স্থানীয় জনতা এবং প্রশাসন উভয়েরই উদ্বেগ বেড়েছে।
DMRC যাত্রীদের জন্য পরামর্শ জারি করেছে
DMRC যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে পরামর্শ জারি করেছে। কর্তৃপক্ষ বলেছে যে স্টেশন চালু থাকবে, তবে জলভরা রাস্তার কারণে সতর্কতার সাথে যাত্রা করা আবশ্যক।
স্থানীয় প্রশাসনও বন্যা-প্রভাবিত এলাকায় নজরদারি এবং ত্রাণকার্য জোরদার করেছে। পুলিশ এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দল সতর্ক রয়েছে এবং সম্ভাব্য জরুরী পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।