দিল্লির সিলমপুরে ১৫ বছর বয়সী করণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত কিশোর

দিল্লির সিলমপুরে ১৫ বছর বয়সী করণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত কিশোর

দিল্লির সিলমপুরে ১৫ বছর বয়সী করণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান এবং পুলিশ টহল বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে।

নয়াদিল্লি: দিল্লির সিলমপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। ১৫ বছর বয়সী নাবালক করণ, তেজপালের পুত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর পুলিশ অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা বিক্ষোভ দেখিয়ে নিরাপত্তার উন্নতির দাবি জানায়।

সিলমপুরে নাবালক হত্যা মামলা 

জানা গেছে, ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ৮টায় ঘটে। নাবালক করণ স্থানীয় একটি মেকানিকের দোকানে কাজ করত এবং সেই সময়েই কোনো বিবাদের জেরে তাকে হত্যা করা হয়। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনাটি এলাকার জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে সামনে এসেছে। সিলমপুর এলাকায় অপরাধের ঘটনা ক্রমবর্ধমান এবং এই ঘটনাটি তরুণ ও শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনায় হতবাক হয়েছেন এবং পুলিশের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।

অভিযুক্ত কিশোরের গ্রেপ্তার ও ছুরি উদ্ধার

পুলিশ ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তও নাবালক। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডটি কোনো পারস্পরিক বিবাদ বা ঝগড়ার কারণে ঘটেছে।

এই ঘটনাটি রাজধানীতে ক্রমবর্ধমান অপরাধের প্রকৃতিকে আবারও তুলে ধরেছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে নাবালক অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্ত কিশোরকে আদালতে পেশ করা হবে।

স্থানীয়দের ক্ষোভ ও বিক্ষোভ

ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে জড়ো হন। বাসিন্দারা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন যে এলাকায় নিরাপত্তা ও নজরদারির অভাবে এমন ঘটনা বাড়ছে। তারা বিক্ষোভ দেখিয়ে পুলিশের কাছে টহল বাড়ানো এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

স্থানীয় বাসিন্দারা শিশুদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ারও দাবি জানাচ্ছেন। তারা বলেছেন যে সময় মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হলে করণের জীবন বাঁচানো যেত। বিক্ষোভ প্রশাসনকে এই বার্তা দিয়েছে যে এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা তাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।

হত্যা মামলায় পুলিশের তদন্ত শুরু 

পুলিশ বিভিন্ন দিক থেকে মামলার তদন্ত করছে। প্রাথমিক তদন্তে পারস্পরিক বিবাদকে হত্যার কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন যে অভিযুক্ত কিশোরের পরিবার এবং পরিচিতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়াও, পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ, সাক্ষীদের বক্তব্য এবং ঘটনাস্থলের ফরেনসিক তদন্ত করছে।

পুলিশ প্রশাসন এটিও স্পষ্ট করেছে যে এলাকায় টহল বাড়ানো হবে এবং শিশুদের সুরক্ষার উপর বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে। কর্মকর্তারা বলছেন যে এই মামলায় যদি কোনো পুলিশ সদস্যের গাফিলতি সামনে আসে, তাহলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই পদক্ষেপ স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তা এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

Leave a comment