Patanjali Share Price: বৃহস্পতিবার শেয়ার বাজারে টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে পতঞ্জলি ফুডস লিমিটেড-এর শেয়ার ৬০০ টাকার নীচে নেমে যায়। এই পতনে বিনিয়োগকারীরা চিন্তায় পড়লেও গ্লোবাল ব্রোকারেজ সংস্থা জেফারিস (Jefferies) আশার আলো দেখিয়েছে। তারা শেয়ারের জন্য নতুন টার্গেট প্রাইস ৬৯৫ টাকা ঘোষণা করে জানিয়েছে, এই শেয়ারে এখনই ‘BUY’ করার সুযোগ রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, উৎসবের মরশুমে খাদ্যতেল ও অন্যান্য পণ্যের চাহিদা দ্রুত বাড়বে, যা কোম্পানিকে পুনরুদ্ধারের পথে নিয়ে যেতে পারে।
৬০০ টাকার নীচে নেমে গেল পতঞ্জলির শেয়ার
বৃহস্পতিবার শেয়ার বাজারে পতঞ্জলি ফুডস-এর শেয়ার বড় ধাক্কা খায়। এক সময় এর দাম নেমে যায় ৬০০ টাকার নীচে। খুচরো বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি বাজারের স্বাভাবিক ওঠা-নামার অংশ।দীর্ঘমেয়াদে কোম্পানির মৌলিক শক্তি স্থিতিশীল রয়েছে। তাই বর্তমান পতন আসলে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করছে।
জেফারিস-এর নতুন ভরসা: ৬৯৫ টাকার টার্গেট
বিশ্বখ্যাত ব্রোকারেজ হাউস জেফারিস পতঞ্জলি ফুডস-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। তারা শেয়ারের জন্য নতুন টার্গেট প্রাইস ৬৯৫ টাকা ঠিক করেছে এবং দিয়েছে ‘BUY’ রেটিং।জেফারিস-এর মতে, বাজারে সাম্প্রতিক পতন বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘এন্ট্রি পয়েন্ট’। উৎসবের মরশুমে বিক্রি বাড়লে শেয়ারের দাম দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
উৎসবে খাদ্যতেল ও এফএমসিজি পণ্যের চাহিদা বাড়বে
বিশ্লেষকরা বলছেন, দীপাবলি-পূজোর মতো উৎসবে খাদ্যতেল, ঘি, বিস্কুট, সাবান ও অন্যান্য এফএমসিজি পণ্যের বিক্রি বাড়বে। পতঞ্জলি এই ক্ষেত্রে দেশের অন্যতম প্রধান সংস্থা।চাহিদা বৃদ্ধির কারণে রাজস্ব ও মুনাফা দুই-ই উন্নত হতে পারে। তাই মধ্যমেয়াদে কোম্পানির পারফরম্যান্স আরও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতিযোগিতার মধ্যেও শক্ত অবস্থানে পতঞ্জলি
যদিও বাজারে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, আইটিসি-র মতো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছে, তবুও পতঞ্জলি তার ব্র্যান্ড ভ্যালু ও গ্রামীণ বাজারে দাপটের কারণে আলাদা জায়গা তৈরি করেছে।বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কোম্পানির এই শক্ত ভিত্তি দীর্ঘ মেয়াদে শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ইতিবাচক রিটার্ন নিশ্চিত করতে পারে।
পতঞ্জলি ফুডস-এর শেয়ার বৃহস্পতিবার ৬০০ টাকার নীচে নেমে যায়। এই পতনের মাঝেই বিশ্বখ্যাত ব্রোকারেজ সংস্থা জেফারিস ৬৯৫ টাকার টার্গেট প্রাইস ঘোষণা করেছে এবং দিয়েছে ‘BUY’ রেটিং। বিশ্লেষকদের দাবি, উৎসবের মরশুমে খাদ্যতেল ও এফএমসিজি পণ্যের বাড়তি চাহিদা কোম্পানিকে বড় সুবিধা দেবে।