৩৭০ ধারা বাতিলের ষষ্ঠ বর্ষপূর্তিতে মেহবুবা মুফতির সরকারের সমালোচনা, সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ। দেশবাসীকে সচেতন থাকার ও গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বান।
জম্মু-কাশ্মীর: জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং পিডিপি সভানেত্রী মেহবুবা মুফতি আবারও ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে কেন্দ্র সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি এটিকে শুধু জম্মু-কাশ্মীরের জন্য নয়, পুরো দেশের জন্য 'কালো দিন' বলে অভিহিত করেছেন। মেহবুবা বলেন, সংসদে সংবিধানের নিয়মকানুন ভেঙে রাজ্যটির বিশেষ মর্যাদা একতরফাভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে ২০১৯ সালের ৫ই আগস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারা বাতিল করে দেয়। এই সিদ্ধান্তের সুদূরপ্রসারী প্রভাব শুধু কাশ্মীরেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং পুরো দেশকে প্রভাবিত করবে। তিনি বলেন, "আমি দেশের জনগণকে বলতে চাই, জেগে উঠুন। এটা শুধু আমাদের বিষয় নয়, আপনাদের অধিকারও এতে খর্ব করা হয়েছে।"
বিক্ষোভের প্রতিধ্বনি
৩৭০ ধারা বাতিলের ষষ্ঠ বর্ষপূর্তিতে জম্মু-কাশ্মীরে বিভিন্ন দল ও সংগঠন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে। শ্রীনগরে ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ও কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তাঁরা কেন্দ্র সরকারের কাছে রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের এবং জম্মু-কাশ্মীরকে পুনরায় পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানান।
পিডিপি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক দল এই দিনটিকে 'কালো দিন' হিসেবে পালন করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একতরফা এবং অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। মেহবুবা মুফতি বলেন, ২০১৯ সালে যা ঘটেছে, তা দেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি গুরুতর সতর্কবার্তা।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও কেন্দ্রের প্রস্তুতি
৩৭০ ধারা বাতিলের বর্ষপূর্তির আগে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ডিরেক্টর তপন ডেকা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকটি সংসদ ভবন চত্বরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই বৈঠকে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আসন্ন সম্ভাব্য পদক্ষেপের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র সরকার সব স্তরে সতর্কতা অবলম্বন করছে।
সুপ্রিম কোর্টে ৮ই আগস্ট গুরুত্বপূর্ণ শুনানি
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরকে পুনরায় রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার আবেদনটির শুনানি সুপ্রিম কোর্টে ৮ই আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। वरिष्ठ अधिवक्ता গোপাল শংকরনারায়ণন ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, এই আবেদনটির শুনানি যেন সেই দিনই হয়। তিনি বলেন, এই মামলাটি ইতিমধ্যেই ৮ই আগস্টের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং এটি স্থগিত করার প্রয়োজন নেই। প্রধান বিচারপতি এই অনুরোধ स्वीकार করেছেন।
সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ সম্পর্কিত পূর্বে স্থগিত থাকা মামলাগুলোর অধীনে একটি বিবিধ আবেদন হিসেবে এটি দাখিল করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। তবে, আদালত তখন यहও বলেছিল যে রাজ্যের মর্যাদা শীঘ্রই পুনরুদ্ধার করা হবে এবং এ বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে आश्वासनও দেওয়া হয়েছিল।
মেহবুবা মুফতির चेतावनी ও अपील
মেহবুবা মুফতি শুধু কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা করেননি, দেশের সাধারণ নাগরিকদেরও সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, যখন সংখ্যাগরিষ্ঠতার নামে সংবিধানকে উপেক্ষা করা হয়, তখন এটি কোনো একটি রাজ্য বা সম্প্রদায়ের সমস্যা থাকে না। তিনি বলেন, "আজ জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে যা হয়েছে, कल आपके साथ भी हो सकता है। সংবিধানের সুরক্ষা সকলের দায়িত্ব।"
তিনি আরও বলেন যে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের পরিচয় ও অধিকার কেড়ে নেওয়া একটি বৃহত্তর কৌশলের অংশ, যেখানে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করা হচ্ছে। মেহবুবা এই বিষয়ে জোর দিয়েছেন যে लोगों को अपने संवैधानिक अधिकारों के लिए आवाज उठानी चाहिए, নতুবা ভবিষ্যতে গণতন্ত্র কেবল একটি दिखावा बनकर रह जाएगा।