কলকাতা ও দেশজুড়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে— বেআইনি অনলাইন বেটিং অ্যাপের বিজ্ঞাপনে তারকাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে দিল্লির ইডি সদর দফতরে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় হাজিরা দিয়েছিলেন অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। কেন: তদন্তকারীরা জানতে চাচ্ছেন যে তাঁকে বা অন্যান্য সেলিব্রিটিদের কীভাবে সংস্থাগুলি কাজে লাগিয়েছে, অর্থপ্রবাহের ব্যবস্থা কেমন ছিল এবং ট্যাক্স-অবাধ্যতা বা আর্থিক লেনদেনে কোনো অনিয়ম আছে কি না। কে-কে রয়েছেন জিজ্ঞাসাবদের তালিকায়: আগে মিমি চক্রবর্তীকে প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে; আরও কয়েকজন বিমানবীর মত উপস্থinct—সুরেশ রায়না ও শিখর ধাওয়ানের মত ক্রিকেটাররাও বয়ান দিয়েছেন।
ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদ: অঙ্কুশ কবে, কতক্ষণ এবং কী জানতে চাওয়া হচ্ছে
অঙ্কুশ হাজরা নির্দিষ্ট সময়ে—সকাল ১১টায়—ইডি-র কাছে হাজিরা করেন। তদন্ত এখনও চলছে; অফিসিয়াল সময়সীমা ও কতক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ হবে সে বিষয়ে সরাসরি বিবরণ পাওয়া যায়নি। তার জিজ্ঞাসাবাদের মূল দিকগুলোতে রয়েছে: অ্যাপ মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম, বিজ্ঞাপনের জন্য পাওনা অর্থ (ফি/এমপেন্স), পেমেন্ট-রুট, ক্যাম্পেইন-সামগ্রী ও ট্যাক্স রেকর্ড।তদন্তকারীরা ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ভেরিফায়েবল মেসেজিং-লগ ও কন্ট্রাক্ট চেক করে যাচ্ছেন—কীভাবে পারিশ্রমিক দেয়া হয়েছে, কোনো পেমেন্ট অবৈধ চ্যানেলে গিয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। ইডি সাধারণত অর্থপ্রবাহ ও সম্পত্তি সম্পর্কিত প্রমাণ সংগ্রহ করে এবং প্রয়োজন হলে আরও সমন জারি করে।
মিমি-মামলা ও অন্য সেলিব্রিটি: কি ঘটেছে আগেই
মিমি চক্রবর্তীর মাঠফল হিসেবে সোমবার প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা ইডি-র মুখোমুখি হয়ে বয়ান দিয়েছেন—তাঁর জিজ্ঞাসাবাদের সময় বহু বিষয় বিশদভাবে খতিয়ে দেখা হয়েছে। সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, মিমির পরে অঙ্কুশ ও উর্বশী রাউতেলাকেও ডাকা হয়েছে বা ডাকা হচ্ছে।দেশব্যাপী তদন্তে বলিউড ও ক্রিকেট জগতের অনেক নাম উঠে এসেছে; তদন্তকারীরা ইতিমধ্যে সুরেশ রায়না ও শিখর ধাওয়ানের বয়ান রেকর্ড করেছেন। প্রতিটি কেসে ইডি নির্ধারণ করবে কার বিরুদ্ধে কী ধরনের চূড়ান্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে—সম্ভবত ব্যাংক তথ্য, চ্যানেলিং রেকর্ড ও বিজ্ঞাপনচুক্তির কাগজপত্র বিশ্লেষণ প্রধান উপায় হবে।
তদন্তকারীদের দৃষ্টি কেন বিজ্ঞাপন ও পেমেন্টে
ইডি-র গুরুত্বারোপ হচ্ছে কারণ বেআইনি বেটিং অ্যাপগুলো সাধারণত কালো চ্যানেল, অপ্রকাশিত পেমেন্ট রুট এবং ট্যাক্স ফাঁকি করার প্রবণতা রাখে। সেলিব্রিটিদের বিজ্ঞাপন দেওয়ার পদ্ধতি ও পেমেন্ট ট্রান্সফারের রেকর্ড ইডির কাছে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হতে পারে—যদি প্রমাণ পাওয়া যায় যে অভিনেতা বা খেলোয়াড়দের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বৈধীকরণ (money laundering) হয়েছে।তদন্তের পর্যায়ে এখনও যে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি; তাই তদন্তকারীরা সাবধানে তথ্য-উপাত্ত জোগাড় করছেন এবং প্রমাণভিত্তিক পদক্ষেপ নেবেন বলে জানানো হয়েছে। অভিযোগ-প্রমাণের ভিত্তিতে ইডি ভবিষ্যতে কেনাকাটা, জরিমানা বা গৃহীত আর্থিক ব্যবস্থা ঘোষণা করতে পারে।
আইনি পরিণতি ও পরবর্তী ধাপ
এই তদন্তে সেলিব্রিটিদের কেবল জিজ্ঞাসাবাদই নয়—ইডি যদি প্রযোজ্য আর্থিক অপরাধ বা সম্পত্তি সম্পর্কিত অনিয়মের প্রমাণ পান, তবে অবশ্যই কড়া করণীয় (search, seizure, attachment) অনুষ্ঠান করতে পারে এবং আইন অনুযায়ী আনপ্রতি-ক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকে। অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে আইনজীবী বা প্রতিরোধের কৌশল সাধারণত আইনানুগ হুকুম অনুসরণ করে—রেকর্ড প্রদান, ব্যাঙ্কস্টেটমেন্ট শেয়ার করা ও বিজ্ঞাপনী চুক্তি উপস্থাপন।এছাড়া তদন্তের পর আরও সাক্ষী ডাকা, চার্জশিট প্রস্তুত বা ফৌজদারি ব্যবস্থায় নির্দেশনাও আসতে পারে। ইডি-র কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউই দোষী সাব্যস্ত নয়—নির্ধারিত হবে শুধু আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
দিল্লির ইডি সদর দফতরে বেআইনি বেটিং অ্যাপ কাণ্ডে মঙ্গলবার হাজিরা দিয়েছেন অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। সকাল ১১টায় পৌঁছে তাকে তদন্তকারীরা বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছেন—অ্যাপ মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ, অর্থপ্রদানের পদ্ধতি ও কর সংক্রান্ত তথ্য প্রথম ধাপের জিজ্ঞাসাবাদের ফোকাস। মামলায় ইতিমধ্যে মিমি চক্রবর্তীর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ এবং কয়েক জন ক্রিকেটারেরও বয়ান নেওয়া হয়েছে।