রাজস্থানের ধौलপুরে বাংলাদেশী মহিলা স্নেহা ফেসবুকে প্রেমের টানে ১.২০ লক্ষ টাকা খরচ করে ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে ধौलপুরের কবিরের সাথে গোপনে বিয়ে করেন। পুলিশ স্নেহাকে হেফাজতে নিয়েছে।
ধौलপুর: রাজস্থানের ধौलপুরে বাংলাদেশের মহিলা স্নেহা জারভিনের প্রেমের গল্প শিরোনামে এসেছে। ফেসবুকে ধौलপুরের বাসিন্দা কবির খানের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পর, স্নেহা ১.২০ লক্ষ টাকা খরচ করে গোপনে ভারতে প্রবেশ করে। তারা দুজনে ইন্দোর এবং উত্তরপ্রদেশে সময় কাটিয়েছে এবং পরে ধौलপুরে গোপনে বিয়ে করে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর পুলিশ স্নেহাকে হেফাজতে নিয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হওয়া প্রেমের গল্প
স্নেহা এবং কবিরের দেখা হয় ফেসবুকে। প্রথমে এটি কেবল বন্ধুত্ব ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে তা প্রেমে পরিণত হয়। স্নেহার কাছে কবিরের ভালোবাসা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে যে সে তার সাথে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পাসপোর্ট ও ভিসা না থাকা সত্ত্বেও সে ভারতে আসার পরিকল্পনা করে এবং অন্য পথে প্রবেশ করে।
বিগত বছরগুলিতে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা সীমা हैदরের গল্পের মতো, এই ঘটনাটিও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রেমের কারণে সীমান্ত অতিক্রম করার একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্নেহার এই প্রেমের গল্প রাজস্থানে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
ভারতে আসার জন্য ১.২০ লক্ষ টাকা খরচ
ভিসা ও পাসপোর্ট না থাকার কারণে, স্নেহা তানিয়া নামের এক মহিলার সাথে যোগাযোগ করে। তানিয়া তাকে ভারতে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং এর জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেয়। স্নেহাকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে কলকাতায় আনা হয় এবং সেখান থেকে ইন্দোরে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে সে কবিরের সাথে দেখা করে।
স্নেহা তার প্রেমিকের সাথে দেখা করার জন্য সমস্ত সাহস সঞ্চয় করে এবং সমস্ত আইনি বাধা উপেক্ষা করে। এই সময়ে সে অনেক ঝুঁকি নিয়েছিল, কিন্তু তার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল কবিরের কাছে পৌঁছানো।
বিয়ের পর ধौलপুরে গ্রেফতার
ইন্দোরে দেখা করার পর, দুজনে উত্তরপ্রদেশে যায় এবং ১৫ দিন একসাথে ছিল। এরপর তারা ধौलপুরের বারি পৌঁছায় এবং গোপনে বিয়ে করে। খবর পুলিশের কাছে পৌঁছালে, সিআইডি এবং আইবি-র একটি দল স্নেহাকে হেফাজতে নেয়।
পুলিশ জানিয়েছে যে এখন স্নেহার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলি ভারতে প্রবেশের সময় কোনো অপরাধ বা আইন লঙ্ঘন হয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে।
স্নেহার মামলা সামাজিক ও আইনি আলোচনায়
স্নেহার এই গল্প সমাজে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রেমের কারণে সীমান্ত অতিক্রম করা এবং গোপনে বিয়ে করা আইনিভাবে একটি গুরুতর বিষয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে তদন্ত শেষ হওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনা এটিও প্রমাণ করেছে যে অনলাইন প্রেমের সম্পর্কগুলি কখনও কখনও বাস্তব জীবনে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলি এই ধরনের বিষয়গুলিতে নজর রাখছে যাতে কোনো আইনি বা নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি না হয়।