বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫: আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র বৈঠক

বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫: আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র বৈঠক

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিল্লিতে অমিত শাহের সভাপতিত্বে বিজেপির বৈঠক। আসন ভাগাভাগি এবং সহযোগী দলগুলোর দাবি নিয়ে আলোচনা। জিতন রাম মাঁঝি অন্তত ২০টি আসন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

Bihar Election 2025: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে বিজেপির একটি বড় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে বিহারের দুই উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী এবং বিজয় সিনহা, দলের রাজ্যThe प्रभारी বিনোদ টাওড়ে এবং অন্যান্য বিশিষ্ট নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিহারে আসন ভাগাভাগি এবং আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়। 

জানা গেছে, এইবার আসন ভাগাভাগি একটু জটিল কারণ গতবার বিজেপি এবং জেডিইউ-এর মধ্যে বেশিরভাগ আসনের বন্টন হয়েছিল, কিন্তু এইবার চিরাগ पासवान এবং অন্যান্য সহযোগী দলও এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বৈঠকে আসন নির্বাচনের জন্য জনসংখ্যা, পূর্ববর্তী নির্বাচনী পারফরম্যান্স এবং আঞ্চলিক সমীকরণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

জিতন রাম মাঁঝির দাবি

বৈঠকের সময় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার প্রধান জিতন রাম মাঁঝি স্পষ্ট করে বলেছেন যে যদি এনডিএ-র মনে তাদের প্রতি সহানুভূতি থাকে, তবে তাদের অন্তত ২০টি আসন দেওয়া উচিত। তিনি বলেছিলেন যে সাধারণ মানুষ এবং তাদের কর্মীরাও এই দাবিই করছেন যে তারা এমন আসন পাবেন যা তাদের মর্যাদা বজায় রাখতে পারে। মাঁঝি আরও বলেছিলেন যে যদি এনডিএ তাদের দলকে স্বীকৃতি দিতে চায়, তবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে হ্যামকে ন্যূনতম ২০টি আসন দিতে হবে।

পাটনায় বিরোধী দলগুলোর বৈঠক

অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলোর প্রস্তুতিও চলছে। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা তেজস্বী যাদব দলীয় বিধায়কদের একটি বৈঠক ডেকেছেন, যেখানে মহাজোটের আসন বন্টন এবং নির্বাচনী কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল জোটের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা এবং সকল দলের স্বার্থ রক্ষা করা নিশ্চিত করা।

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ এবং আসন বন্টন

বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের জন্য নির্বাচন ২০২৫ সালের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এনডিএ এবং মহাজোটের মধ্যে। এনডিএ-তে বিজেপি এবং জেডিইউ তাদের নিজ নিজ অঞ্চলে ১০০-১০০ টিরও বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করছে। হ্যাম, এলজেপি এবং অন্যান্য সহযোগী দলগুলোও আসনের দাবি জানাচ্ছে। মহাজোটের জন্যও আসন বন্টনে ভারসাম্য বজায় রাখা অপরিহার্য।

Leave a comment