বিহারের জামুই জেলায়, বরহাট থানার পুলিশ দল উপর ग्रामीणोंের হামলা। পুলিশকে তাড়া করে পেটানো হয়। এই ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
জামুই: বিহারের জামুই জেলায় বরহাট থানার পুলিশ দলের উপর শুক্রবার একটি হিংসাত্মক হামলা হয়েছে। অবৈধ মদ তৈরি ও বিক্রির খবর পেয়ে গ্রামে তদন্ত করতে যাওয়া পুলিশ দলকে গ্রামের লোকেরা তাড়া করে পেটায় এবং লাঠি-সোটা দিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ এই ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
থানা-প্রভাবের নেতৃত্বে দলটি কাদুয়া তারি গ্রামে পৌঁছানো মাত্রই গ্রামবাসীরা তাদের উপর হামলা চালায়। পুলিশ জানিয়েছে যে এই হামলা ইচ্ছাকৃত ছিল এবং এটি আইন-শৃঙ্খলার জন্য একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ।
পুলিশ দলের উপর লাঠি-সোটার আক্রমণ
শুক্রবার দুপুরে প্রায় ৪টা নাগাদ পুলিশ দল কাদুয়া তারি গ্রামে মদের চোরাচালান ও উৎপাদন তদন্ত করতে পৌঁছেছিল। পুলিশ তল্লাশি শুরু করার সাথে সাথেই গ্রামবাসীরা লাঠি-সোটা নিয়ে হামলা চালায় এবং পুলিশ কর্মীদের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে পুলিশ তাদের প্রতিক্রিয়ায় সংযম বজায় রেখে বড় দুর্ঘটনা এড়াতে সক্ষম হয়। এই সম্পূর্ণ ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে, যা পরিস্থিতির গুরুত্ব নির্দেশ করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হামলা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে অনেক পুলিশকর্মী আহত হন এবং তাঁদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়। আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে এই ঘটনা আইন-শৃঙ্খলার দিক থেকে চ্যালেঞ্জিং এবং এর পিছনে মদ মাফিয়া ও গ্রামবাসীদের মধ্যে যোগসাজশ থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিহারে মদ নিষিদ্ধ সত্ত্বেও বাড়ছে অবৈধ মদের কারবার
বিহারে মদ নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও অবৈধ মদের কারবার বৃদ্ধি পাচ্ছে। মদ মাফিয়াদের নেটওয়ার্ক এবং গ্রামীণ সমর্থনের কারণে পুলিশের কার্যকলাপে বাধা আসে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে অবৈধ মদের কারবার শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই বিপজ্জনক নয়, বরং এটি আইন-শৃঙ্খলার উপরও গুরুতর প্রভাব ফেলে।
পুলিশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অবৈধ কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করা উভয়ই প্রশাসনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বারবার এমন ঘটনা সামনে আসায় এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে মদ নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও আইন প্রয়োগে গুরুতর বাধা রয়েছে।
থানার ঘেরাও এবং বিক্ষোভ
হামলার পরের দিন, অর্থাৎ শনিবার, গ্রামবাসীরা পুলিশ তদন্তের প্রতিবাদে ঢোল বাজিয়ে থানার ঘেরাও করার চেষ্টা করে। এই সময় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করে। পুলিশ মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তাদের পরিচয় শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা শুরু করেছে। এই ঘটনাটি ঝাঝা থানার পুলিশ উপর সাম্প্রতিক হামলার কয়েকদিন পরেই ঘটেছে।
জেলায় পুলিশ উপর হামলার ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। বালি মাফিয়া ও মদ মাফিয়াদের চাপের কারণে আইন প্রয়োগ করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে। এটা স্পষ্ট যে গ্রামীণ স্তরে অবৈধ কার্যকলাপের সাথে জড়িত লোকেরা পুলিশের উপর হিংসা করতেও প্রস্তুত থাকে।