বিকানিরের 'সিংহী' মনিকা রাজপুরোহিতের রাস্তায় মারামারির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। পুলিশ আগেই তার বিরুদ্ধে ডোডা-পোস্ত উদ্ধার এবং ব্ল্যাকমেইলিংয়ের তদন্ত করছিল। বিষয়টি এখনও উদ্ঘাটন ও তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে।
যোধপুর: রাজস্থানের বিকানেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ভিডিওটিতে 'বিকানেরের সিংহী' নামে পরিচিত মনিকা রাজপুরোহিতের সঙ্গে রাস্তায় মারামারি করতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটিতে কয়েকজন যুবক ও মহিলাকে দেখা যাচ্ছে এবং পুলিশকর্মীদেরও ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে দেখা যাচ্ছে।
আপাতত, এই ঝগড়া কখন এবং কী কারণে হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। স্থানীয় সূত্র অনুসারে, রাস্তায় মারামারির পেছনে অন্য কোনো গাড়ির সাথে সংঘর্ষের সম্ভাবনাও জানানো হচ্ছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে এবং শীঘ্রই সমস্ত তথ্য প্রকাশ করা হবে।
'বিকানেরের সিংহী' কে?
ভিডিওতে দেখা যাওয়া তরুণী হলেন মনিকা রাজপুরোহিত, যার বয়স ২২ বছর বলে জানা গেছে। মনিকা জয়নারায়ণ ব্যাস কলোনি থানার অন্তর্গত বজরংপুরী বল্লভ গার্ডেনের বাসিন্দা।
গত বছর মনিকা আলোচনায় এসেছিলেন যখন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আফিম সেবন করার ভিডিও আপলোড করেছিলেন। এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর তাকে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এছাড়াও, একবার তার উপর হামলা এবং অপহরণের চেষ্টার একটি মামলাও সামনে এসেছিল, যা পরে ভুয়ো বলে জানানো হয়েছিল।
তল্লাশিতে প্রায় ২০০ গ্রাম ডোডা-পোস্ত উদ্ধার
বিকানেরের তৎকালীন এসপি আইপিএস তেজস্বিনী গৌতম গত বছর মনিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তার বাড়িতে হানা দেয়। তল্লাশির সময় প্রায় ২০০ গ্রাম ডোডা-পোস্ত উদ্ধার করা হয়, যার পর মনিকাকে হেফাজতে নেওয়া হয়।
কম পরিমাণে ডোডা-পোস্ত পাওয়ায় তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ এখন তার মোবাইল ফোন এবং ডিজিটাল প্রমাণগুলির गहन তদন্ত করছে।
মনিকার বিরুদ্ধে মানুষের ব্ল্যাকমেইলিং করার অভিযোগও দায়ের হয়েছে

সূত্র অনুসারে, মনিকার বিরুদ্ধে অনেক লোককে ব্ল্যাকমেইলিং করার অভিযোগও দায়ের হয়েছে। পুলিশ বোঝার চেষ্টা করছে যে উদ্ধার হওয়া ডোডা-পোস্ত মনিকার কাছে কীভাবে পৌঁছেছিল এবং এর সাথে কোনো অপরাধমূলক নেটওয়ার্ক জড়িত আছে কিনা।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা তীব্র হয়েছে। মানুষ জানতে চায়, 'বিকানেরের সিংহী'র সঙ্গে রাস্তায় এই মারামারি কেন হলো এবং এতে কারা কারা জড়িত ছিল।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর মানুষ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে। পুলিশ স্পষ্ট করেছে যে তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই কোনো সিদ্ধান্তে আসা যাবে।
স্থানীয় জনগণ এবং কর্মকর্তারা উভয়েই নিশ্চিত করতে চান যে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটিত হোক এবং কোনো ধরনের গুজব পরিস্থিতি আরও খারাপ না করে।












