হরিয়ানার বিজেপি বিধায়ক রাম কুমার গৌতম বিধানসভায় দাবি করেছেন যে বিবাহের আগে বাবা-মায়ের অনুমতি বাধ্যতামূলক করা উচিত এবং পালিয়ে গিয়ে বিবাহকারীদের বিরুদ্ধে আইন তৈরি করা উচিত। তিনি সামাজিক ভারসাম্য এবং পরিবারের সম্মানের জন্য এই পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন।
চণ্ডীগড়: হরিয়ানা বিধানসভায় মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট, ২০২৫) বিজেপি বিধায়ক রাম কুমার গৌতম বিবাহ সংক্রান্ত একটি নতুন এবং সংবেদনশীল বিষয়ে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন। বিধায়ক বলেছেন যে বিবাহের আগে বাবা-মায়ের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করা উচিত। তিনি সাফিডো থেকে জিরো আওয়ারে এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন এবং এটিকে বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতির নিরিখে অত্যন্ত জরুরি বলে অভিহিত করেন।
রাম কুমার গৌতমের বক্তব্য হল, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ছেলে-মেয়েরা বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করছে, যার ফলে অনেক সময় পরিবার সমস্যায় পড়ছে এবং বাবা-মায়েরা আত্মহত্যা করার মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এই আইন লাগু হলে পরিবারে সম্মান ও সামাজিক ভারসাম্য বজায় থাকবে।
বিবাহের আগে বাবা-মায়ের অনুমতি জরুরি
বিজেপি বিধায়ক রাম কুমার গৌতমের বক্তব্য, বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। তিনি জানান, এই ধরনের ঘটনায় শুধু পরিবারের সদস্যরা মানসিক চাপের সম্মুখীন হন না, অনেক সময় বাবা-মায়েরা আত্মহত্যার মতো পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হন।
গৌতম বলেন, "যদি বিবাহের আগে বাবা-মায়ের অনুমতি বাধ্যতামূলক করা হয়, তাহলে পরিবার এবং সমাজ উভয়ই স্থিতিশীলতা পাবে। এই পদক্ষেপ পরিবারে বিশ্বাস ও সামাজিক সম্মান বজায় রাখতে সাহায্য করবে।" তাঁর বিশ্বাস, এই আইন যুব প্রজন্ম এবং তাদের পরিবার উভয়ের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হবে।
জমির কালেক্টর রেট নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিধায়ক
রাম কুমার গৌতম তাঁর ভাষণে জমির কালেক্টর রেট এবং বাজার দরের মধ্যে পার্থক্যকেও প্রধান मुद्दा হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অনেক স্থানে কালেক্টর রেট এবং প্রকৃত বাজার মূল্যের মধ্যে বড় পার্থক্য রয়েছে, যার ফলে কৃষক ও ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং দুর্নীতি বাড়ছে।
বিধায়ক বলেন, যদি এই পার্থক্য কমানো যায়, তাহলে জমি কেনা-বেচায় স্বচ্ছতা বাড়বে এবং কৃষকদের স্বার্থে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত উপযোগী প্রমাণিত হবে। তিনি প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে দ্রুত सुधार করার আবেদন জানান।
স্পিকার বিধায়কের ভাষণ থামিয়ে দেন
বিধায়ক জিরো আওয়ারে তাঁর ভাষণ जारी রাখার চেষ্টা করেন, কিন্তু স্পিকার হরবিন্দর কল্যাণ তাঁকে বসতে নির্দেশ দেন। স্পিকার স্পষ্ট করে জানান যে অতিরিক্ত বিষয়ে কথা বলার জন্য नोटिस দেওয়া আবশ্যক।
উল্লেখযোগ্য যে রাম কুমার গৌতম সম্প্রতি জননায়ক জনতা পার্টি (JJP) ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি বিধানসভায় বিবাহ এবং জমি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে নিজের বক্তব্য রাখার পাশাপাশি সামাজিক ও অর্থনৈতিক सुधारের দিকেও सुझाव দিয়েছেন।