বাড়িতে থাকা ৩ উপাদানেই কমোড হবে ঝকঝকে, ক্লিনার নয় আর খরচও নয়

বাড়িতে থাকা ৩ উপাদানেই কমোড হবে ঝকঝকে, ক্লিনার নয় আর খরচও নয়

Cleaning Tips: বাড়ির সবচেয়ে ব্যবহৃত জায়গা হল বাথরুম, আর সেখানে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি নোংরা হয় কমোড। বারবার ব্যবহারের ফলে জমে যায় হলুদ দাগ ও আস্তরণ, যা তুলতে অনেকেই দামি ক্লিনার ব্যবহার করেন। কিন্তু লেবু, নুন ও ভিনিগার—এই তিনটি ঘরোয়া উপাদানই পারে সেই দাগছোপ দূর করতে। কোনও ক্ষতিকর রাসায়নিক নয়, বরং প্রাকৃতিক উপাদানেই কমোড হবে আগের মতো চকচকে।

দামি ক্লিনার নয়, ঘরোয়া পদ্ধতিই সেরা

বাজারে নানা ব্র্যান্ডের টয়লেট ক্লিনার পাওয়া যায়, কিন্তু সব সময় তা দাগ তোলার নিশ্চয়তা দেয় না। উপরন্তু এতে থাকা রাসায়নিক পদার্থে ক্ষতি হয় টাইলস ও ফিটিংসের। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বাড়িতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদানই ব্যবহার করুন—এতে পরিবেশ যেমন বাঁচবে, সাশ্রয়ও হবে খরচের।

লেবু ও নুন: দাগ তুলতে জাদুকরী মিশ্রণ

লেবুর রসে থাকা প্রাকৃতিক অ্যাসিড ও নুনের দানাদার গঠন একসঙ্গে কাজ করে। লেবুর রস ও নুন মিশিয়ে দাগের জায়গায় লাগান, কিছুক্ষণ পর হালকা ঘষে নিন। এই মিশ্রণ শুধু দাগই তুলবে না, দূর করবে দুর্গন্ধও। বাথরুমে থাকবে তাজা গন্ধ ও ঝকঝকে উজ্জ্বলতা।

ভিনিগার: প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক ও ক্লিনার

ভিনিগারে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড দাগ ও ক্যালসিয়ামের স্তর নরম করে দেয়। দিনে একবার ভিনিগার স্প্রে করলে কমোডের পুরনো দাগও মিলিয়ে যাবে। এতে জীবাণুর বৃদ্ধি রোধ হয়, আর টয়লেটের গন্ধও থাকে নিয়ন্ত্রণে।

বেকিং সোডা ও লেবুর সংমিশ্রণে দ্বিগুণ কার্যকারিতা

এক কাপ গরম জলে দুইটি লেবুর রস, এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। সেই তরল দাগের জায়গায় স্প্রে করে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ব্রাশ দিয়ে হালকা ঘষে জল ঢেলে ধুয়ে ফেলুন। কমোড হবে নতুনের মতো চকচকে, কোনও কেমিক্যালের ঝামেলাও নেই।

ব্র্যান্ডেড ক্লিনারের পেছনে গাদা টাকা খরচ না করে, বাড়িতেই পাওয়া তিনটি সহজ উপাদান—লেবু, নুন ও ভিনিগার দিয়ে কমোড পরিষ্কার করা সম্ভব। এই ঘরোয়া পদ্ধতিতে নোংরা, হলদেটে দাগ নিমেষে মিলিয়ে যাবে, কমোড হবে একদম নতুনের মতো সাদা ও ঝকঝকে।

Leave a comment