মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলার অভিযুক্তকে এফআইআরের কপি দেওয়ার নির্দেশ তিস হাজারী আদালতের, তবে শর্ত প্রযোজ্য

মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলার অভিযুক্তকে এফআইআরের কপি দেওয়ার নির্দেশ তিস হাজারী আদালতের, তবে শর্ত প্রযোজ্য

তিস হাজারী আদালত মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার উপর হামলার অভিযুক্ত রাজেশ খিমজিকে এফআইআরের অনুলিপি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অভিযুক্তকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে সে অনুমতি ছাড়া এফআইআরের তথ্য অন্য কারো সাথে শেয়ার না করে।

নয়াদিল্লি: দিল্লির তিস হাজারী আদালত মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার উপর হামলার অভিযুক্ত রাজেশ ভাই খিমজি ভাই সাকারিয়াকে এফআইআরের অনুলিপি সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সেন্ট্রাল) গৌরব গোয়েল অভিযুক্তের আবেদন মঞ্জুর করেছেন এবং স্পষ্ট করেছেন যে অভিযুক্ত আদালতের অনুমতি ছাড়া এফআইআরের তথ্য অন্য কোনো ব্যক্তির সাথে শেয়ার করতে পারবে না। এই আদেশের মাধ্যমে মামলার তদন্ত এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখার দিকে এক ধাপ এগিয়েছে।

আদালতের অভিযুক্তকে এফআইআরের অনুলিপি দেওয়ার নির্দেশ

তিস হাজারী আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্ত খিমজি ভাইয়ের আবেদনকে স্বীকৃতি দিয়ে সিভিল লাইন্স পুলিশকে এফআইআরের অনুলিপি সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত বিশেষভাবে এও বলেছে যে অভিযুক্ত অনুমতি ছাড়া এফআইআরের তথ্য কোনো তৃতীয় পক্ষকে শেয়ার করতে পারবে না। মামলার সংবেদনশীলতা এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার গোপনীয়তা বিবেচনা করে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রতিরক্ষা পক্ষের আইনজীবী প্রদীপ খাত্রী আদালতকে জানিয়েছেন যে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে এফআইআরের অনুলিপি সরবরাহ করা হয়নি। আদালত এই বিষয়ে স্পষ্ট করেছে যে বিচারিক প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হওয়া উচিত নয় এবং অভিযুক্তকে অবিলম্বে এফআইআরের অনুলিপি সরবরাহ করা হোক। এটি অভিযুক্তকে তার প্রতিরক্ষার কৌশল তৈরি করতে সাহায্য করবে।

মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলার দুই অভিযুক্ত গ্রেপ্তার 

ঘটনাটি ২০ আগস্ট ঘটেছিল, যখন রাজেশ ভাই খিমজি ভাই সাকারিয়া সিভিল লাইন্সে অবস্থিত মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার 'জন শুনানির' কর্মসূচিতে কথিতভাবে হামলা চালায়। অভিযুক্ত এবং তার বন্ধু তাহসিন সৈয়দ কথিতভাবে মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলা চালিয়েছিল, যার পর পুলিশ দ্রুত মামলা নথিভুক্ত করে এবং দু'জনকেই গ্রেপ্তার করে।

এই হামলার পর দিল্লি পুলিশ মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে তদন্ত দ্রুত করেছিল। তাহসিন সৈয়দকে গুজরাটের রাজকোট থেকে দিল্লিতে এনে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। মামলার তদন্ত চলছে এবং পুলিশ দুই অভিযুক্তের সংযোগ, ঘটনার কারণ এবং অন্য কোনো সম্ভাব্য অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে ব্যস্ত।

আদালত অভিযুক্তের বিচার বিভাগীয় হেফাজত বাড়িয়েছে

দিল্লির তিস হাজারী আদালত অভিযুক্ত খিমজি ভাই এবং তার সঙ্গী তাহসিন সৈয়দের বিচার বিভাগীয় হেফাজত ৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে। দুই অভিযুক্তকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌরব গোয়েলের সামনে পেশ করা হয়েছিল। আদালত হেফাজত বাড়ানোর কারণ হিসেবে জানিয়েছে যে তদন্ত এখনও শেষ হয়নি এবং পুলিশের পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য সময়ের প্রয়োজন।

আদালত এও নির্দেশ দিয়েছে যে অভিযুক্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকাকালীন কোনো বেআইনি কার্যকলাপ বা গণমাধ্যমে এফআইআরের বিবরণ শেয়ার না করে। মামলার সংবেদনশীলতা এবং মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিবেচনা করে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।

Leave a comment