ছত্তীসগঢ়ের রাজধানী রায়পুরে কংগ্রেস পার্টি আজ সোমবার, ৭ জুলাই তারিখে 'কিসান-জওয়ান-সংবিধান' জনসভার আয়োজন করতে চলেছে। এই অনুষ্ঠানটি পার্টির জন্য আসন্ন নির্বাচনের কৌশল নির্ধারণের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। জনসভায় কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ভাষণ দেবেন। তাঁর সঙ্গে সংগঠন महासचिव কে.সি. वेणुगोपाल, প্রদেশ ইনচার্জ শচীন পাইলট এবং ছত্তীসগঢ়ের বহু প্রবীণ নেতাও মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন।
কর্মীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে দারুণ উৎসাহ
জনসভার একদিন আগে রবিবার কংগ্রেসের প্রদেশ ইনচার্জ শচীন পাইলট আয়োজন স্থল পরিদর্শন করেন এবং প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, বৃষ্টি হচ্ছে, মেঘ করেছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও কর্মীদের মধ্যে দারুণ উৎসাহ রয়েছে। পাইলট এই সভাকে শুধু রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে নয়, সংবিধান রক্ষার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, কংগ্রেসের প্রত্যেক কর্মী রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গের বার্তা নিয়ে জনগণের কাছে যাবেন এবং পার্টির আদর্শকে সকলের মধ্যে পৌঁছে দেবেন।
খাড়গে পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স কমিটির বৈঠক করবেন
জনসভার পরে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে রায়পুরে পার্টির পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। শচীন পাইলট জানিয়েছেন, এই বৈঠকে পার্টির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা এবং নির্বাচনী কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তিনি বলেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস কোন বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দেবে, তা নিয়ে বৈঠকে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করা হবে। পাইলট বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, বিজেপি যে প্রতিশ্রুতিগুলির ভিত্তিতে ক্ষমতায় এসেছিল, তার সবকটিতেই তারা ব্যর্থ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেস এখন সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে ময়দানে নামবে।
বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে প্রশ্ন
একই সময়ে, বিহারে চলমান ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়েও শচীন পাইলট নির্বাচন কমিশনের কাছে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, কমিশনের কার্যকারিতা নিয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। পাইলট বলেন, এখন সময় খুব কম, এমন পরিস্থিতিতে প্রত্যেক ভোটারের সঠিক যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়ছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এটা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব যে প্রত্যেক যোগ্য নাগরিক তাদের ভোটাধিকার সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে। পাইলট আরও জানান যে, শুধু কংগ্রেস নয়, পুরো বিরোধী দল এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করছে এবং এটিকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য উদ্বেগজনক মনে করছে।