দেশজুড়ে চাঞ্চল্য, স্মৃতি ফিরিয়ে দিল ১৭ বছরের পুরনো খুন

 দেশজুড়ে চাঞ্চল্য, স্মৃতি ফিরিয়ে দিল ১৭ বছরের পুরনো খুন

রাজা ও সোনম রঘুবংশীর ঘটনার সঙ্গে যেন হুবহু মিল! ২০০৮ সালে মারিয়া এবং তাঁর প্রেমিক জেরোম ম্যাথিউ মিলে এক নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। শুধু হত্যা নয়, মৃতদেহের সামনেই গড়ে ওঠে বিকৃত যৌনতার কাহিনি।

তিন চরিত্রের রক্তাক্ত রহস্য! কে ছিলেন খুনের মূল চক্রান্তকারী?

একদিকে বলিউড স্বপ্ন দেখা মারিয়া, অন্যদিকে সেনা অফিসার জেরোম আর তৃতীয় চরিত্র নীরজ গ্রোভার। কে কাকে কীভাবে ব্যবহার করেছিল, কার মনে ছিল প্রতিহিংসা—সব মিলিয়ে যেন এক রিয়েল-লাইফ থ্রিলার!

অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্নে শুরু অন্ধকার সফর

মারিয়ার পরিবারের ইচ্ছা ছিল পড়াশোনার পর বিয়ে। কিন্তু নায়িকা হওয়ার বাসনা নিয়ে তিনি পালিয়ে বেঙ্গালুরু চলে যান। স্ট্রাগল, প্রত্যাখ্যান আর একাকীত্বের মধ্যে বেড়ে চলছিল তাঁর হতাশা।

বলিউডে পা রাখার স্বপ্ন, শুরু নীরজের সঙ্গে পরিচয়

জুট ছবিতে ছোট একটা ব্রেক পেলেও বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি মারিয়া। মুম্বইয়ে অডিশনের সময়ই নীরজের সঙ্গে আলাপ। সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয় দ্রুত। নীরজের কাছ থেকে কাজের আশ্বাসও পেয়েছিলেন।

 সম্পর্কের টানাপোড়েনে শুরু যৌনতা আর নিরাশা

নীরজের সঙ্গে দিন কাটানো, লিভ-ইন সম্পর্ক, একঘেয়েমি আর প্রত্যাখ্যানের বেদনা মিলিয়ে মারিয়া মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছিলেন। কাজ না পাওয়া, বারংবার প্রত্যাখ্যাত হওয়া তাঁর স্বপ্নকে ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছিল।

 লুকানো সম্পর্ক, দুই পুরুষের মাঝে দ্বিধা

একদিকে জেরোমের সঙ্গে বাগদানের প্রস্তুতি, অন্যদিকে নীরজের সঙ্গে দৈনন্দিন ঘনিষ্ঠতা। মারিয়া দুই দিকেই সম্পর্ক রেখে চলেছিলেন। কিন্তু সত্য গোপন করার ফলাফল যে এত ভয়াবহ হবে, তা কল্পনাও করেননি কেউ।

হঠাৎ আগমন, মুহূর্তেই প্রাণনাশ!

২০০৮ সালের ৮ মে। হঠাৎই মারিয়ার ফ্ল্যাটে হাজির জেরোম। নীরজকে শোওয়ার ঘরে দেখে ক্ষিপ্ত জেরোমের হাতে একের পর এক আঘাত। একসময় থেমে গেল নীরজের নিঃশ্বাস। মুহূর্তেই মুম্বইয়ে জন্ম নিল এক রক্তাক্ত ইতিহাস।

নিষ্ঠুরতার সীমাহীনতা! মৃত্যুর সামনেই প্রেমিক-প্রেমিকার বিকৃতি

রক্তাক্ত ঘরেই থেমে থাকেননি জেরোম-মারিয়া। মৃতদেহের সামনে যৌনতার অবর্ণনীয় দৃশ্য! সেই নির্মম মুহূর্তের কথা প্রকাশ্যে আসতেই সাড়া পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে।

৩০০ টুকরো বিভীষিকা! ছোট্ট ভুলে ফাঁস হয়ে গেল রক্তাক্ত ষড়যন্ত্র

শরীরের একাধিক টুকরো করে ফেলেন জেরোম-মারিয়া। তারপর প্লাস্টিক ব্যাগে পুরে লোপাটের চেষ্টা। কিন্তু নীরজের ফোন মারিয়ার জিন্স পকেটে থেকেই যাওয়ায় পুলিশের হাতে ধরা পড়েন দু'জনে। জেরোম পেলেন ১০ বছরের জেল, মারিয়া মাত্র ৩ বছর। এত কম শাস্তির প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশ।

Leave a comment