রাজধানী দিল্লিতে আবারও স্কুলগুলোতে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তিনটি আলাদা আলাদা স্কুলে সন্দেহজনক ইমেলের মাধ্যমে এই হুমকি বার্তা পাঠানো হয়েছে। প্রথমে রোহিনী সেক্টর-3 এ অবস্থিত অভিনব পাবলিক স্কুল, তারপর পশ্চিম বিহারের রিচমন্ড স্কুল, এবং এরপর রোহিনী সেক্টর-24 এর সোভারন স্কুল এই হুমকি পেয়েছে। ইমেল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়, যার পরে দিল্লি পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেড ও বম্ব স্কোয়াডের দল ঘটনাস্থলে এসে তল্লাশি অভিযান শুরু করে দিয়েছে।
যদিও এখনও পর্যন্ত কোনো স্কুলেই কোনো বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি, তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সমস্ত স্কুল খালি করে দেওয়া হয়েছে। ছাত্র ও কর্মীদের নিরাপদে বাইরে বার করে আনার পর পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে গভীর তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত ৯টি স্কুল নিশানা

এর আগে বুধবার দক্ষিণ দিল্লির বসন্ত ভ্যালি স্কুল ও দ্বারকার সেন্ট থমাস স্কুলেও একই ধরনের হুমকি এসেছিল। গত তিন দিনে দিল্লির মোট ৯টি স্কুলে ১০টি হুমকি ভরা ইমেল এসেছে। বার বার আসা এই হুমকিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ, ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই বছরই ৭ই ফেব্রুয়ারি পূর্ব দিল্লির ময়ূর বিহার ফেজ-১ এ অবস্থিত অ্যালকন পাবলিক স্কুলকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ও ইমেলের মাধ্যমে পাঠানো বার্তার পরে স্কুলে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল, কিন্তু গভীর তল্লাশির পরে সেখানেও কিছু সন্দেহজনক পাওয়া যায়নি এবং বিষয়টিকে গুজব বলে জানানো হয়েছিল।
ডার্ক ওয়েব ও ভিপিএন-এর মাধ্যমে মেল পাঠানো হচ্ছে

হুমকি ভরা ইমেলের তদন্ত করা দিল্লি পুলিশের জন্য এই মামলাগুলোর কিনারা করা সহজ নয়। আধিকারিকদের বক্তব্য, এই মেলগুলো এনক্রিপ্টেড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে, যে কারণে এগুলোর উৎস খুঁজে বের করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। দিল্লি পুলিশের সাইবার টিম ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী বিশেষজ্ঞরা ক্রমাগত তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন।
এক वरिष्ठ আধিকারিকের মতে, হুমকিদাতারা लगातार ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (VPN) ও ডার্ক ওয়েবের ব্যবহার করছে। ডার্ক ওয়েব হল ইন্টারনেটের সেই অংশ যা সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন (যেমন Google বা Bing) থেকে দেখা যায় না এবং শুধুমাত্র বিশেষ সফটওয়্যারের সাহায্যেই এতে প্রবেশ করা যেতে পারে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ডার্ক ওয়েবের সন্ধান করা, আয়না দিয়ে ভরা ঘরে কোনো ছায়ার পিছনে ছোটার মতো—যেমনই কোনো সূত্র পাওয়া যায়, সেটি তৎক্ষণাৎ অন্য কোনো লুকানোর স্তরে অদৃশ্য হয়ে যায়।
সুরक्षा एजेंसीগুলো अलर्ट मोड-এ
लगातार বোমা হুমকির কারণে দিল্লির স্কুলগুলোতে ভয় ও উদ্বেগের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। অনেক অভিভাবক বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে দ্বিধা বোধ করছেন। वहीं পুলিশ ও অন্যান্য सुरक्षा एजेंसीগুলো প্রতিটি দিক থেকে তদন্ত করছে। আধিকারিকদের বক্তব্য, হুমকির সত্যতা জানার জন্য এবং দোষীদের খুঁজে বের করার জন্য সমস্ত রকমের প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
फिलहाल রাজধানীর সমস্ত স্কুলের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত सतर्क থাকার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের আবেদন, মানুষেরা যেন গুজবে কান না দেয় এবং কোনো সন্দেহজনক गतिविधि দেখতে পেলে তৎক্ষণাৎ নিকটবর্তী থানায় খবর দেয়।












