দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এ एनएसयूআই-এর সভাপতি পদের প্রার্থী জসলিন নন্দিতা চৌধুরীর আগের নাম ছিল জিতু চৌধুরী। তাঁর কথিত ধর্মান্তর এবং নাম পরিবর্তন নির্বাচনী রাজনীতিকে উত্তপ্ত করে তুলেছে।
জয়পুর: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (DUSU) নির্বাচন ২০২৫-এর জন্য एनएसयूআই যোধপুরের ছাত্রী জসলিন নন্দিতা চৌধুরীকে সভাপতি পদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাঁর সাথে সহ-সভাপতি পদের জন্য রাজস্থানের अलवरের রাহুল ঝানসলাকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। রাজস্থানের এই দুই মুখকে प्रदेशের জন্য গর্বের বিষয় হিসেবে দেখা হচ্ছে, তবে সভাপতি পদের প্রার্থী জসলিনকে নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে।
জিতু চৌধুরী থেকে জসলিন নন্দিতা হলেন কীভাবে?
সূত্রের খবর অনুযায়ী, জসলিনের আগের নাম ছিল জিতু চৌধুরী। পরে তিনি নাম পরিবর্তন করে জসলিন নন্দিতা রাখেন। তাঁর স্কুলিং জয়পুরের ডি পি এস স্কুলে হয়েছে এবং দ্বাদশ শ্রেণির মার্কশিটে মায়ের নাম বেবি দেবী লেখা আছে। আলোচনা হচ্ছে যে নাম পরিবর্তন এবং ধর্ম পরিবর্তনের কারণেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যদিও, এই কথার কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ এখনও সামনে আসেনি। ধর্ম পরিবর্তনের আসল কারণ ও সত্যের উত্তর কেবল জসলিনই দিতে পারেন।
শিক্ষাগত নথিতে তাঁর পুরানো নাম 'জিতু চৌধুরী'ই লেখা আছে। এটাই কারণ যে তাঁর নাম পরিবর্তন এবং ধর্মান্তর নিয়ে রাজনীতি এবং এবিভিপি শিবিরে তীব্র আলোচনা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরোধী পক্ষ এই বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় রয়েছে এবং অনেকবার আক্রমণাত্মক আচরণও দেখা গেছে।
এনএসইউআই সভাপতি পদের টিকিট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে
রাজনৈতিক মহলে এই প্রশ্নও উঠছে যে, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে উমাংশী লাম্বা এবং গোপাল চৌধুরীর মতো পরিচিত ছাত্র নেতারা সভাপতি পদের জন্য দাবি জানাচ্ছিলেন, সেখানে হঠাৎ সক্রিয় হওয়া জসলিন কীভাবে সভাপতি পদের টিকিট পেলেন। এই বিষয়টি নির্বাচনী কৌশল এবং एनएसयूআই-এর সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলছে।
এনএসইউআই-এর বিশ্বাস, জসলিন নন্দিতার ভাবমূর্তি এবং সক্রিয়তা দেখে তাঁকে নির্বাচনে ভালো ফল করা প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। তবে বিরোধী পক্ষ এটিকে অনুচিত প্রক্রিয়া এবং বাইরের হস্তক্ষেপের ফল বলে দাবি করছে।
নাম এবং ধর্ম পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক তীব্র
সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মান্তর এবং নাম পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক তীব্র হয়েছে। বিরোধী পক্ষ এটিকে নির্বাচনী মানদণ্ড এবং নৈতিকতার প্রশ্ন হিসেবে তুলছে। অন্যদিকে, সমর্থক পক্ষ বলছে যে নাম এবং ধর্ম পরিবর্তন ব্যক্তিগত অধিকার এবং এটিকে নির্বাচনে मुद्दा (বিষয়) বানানো উচিত নয়।
কিছু এবিভিপি সমর্থক ছাত্র নেতারা দাবি করেছেন যে নাম পরিবর্তন এবং ধর্মান্তরের কারণে জসলিনের নির্বাচনী টিকিট নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ভোটারদের হাতে থাকবে।