‘ম্যায় হু না’ পদ হারিয়েও সংগঠনের জন্য প্রস্তুত দিলীপ

‘ম্যায় হু না’ পদ হারিয়েও সংগঠনের জন্য প্রস্তুত দিলীপ
সর্বশেষ আপডেট: 30-11--0001

দলে আর নেই কোনও পদ, তবুও দিলীপ ঘোষ জানালেন—দায়িত্ব পেলে প্রস্তুত তিনি। রাজ্য রাজনীতির মাঠে তাঁর জায়গা এখনও অক্ষুণ্ণ বলেই স্পষ্ট বার্তা দিলেন ‘ফায়ারব্র্যান্ড’ এই বিজেপি নেতা। বললেন, আমি রাস্তায় আছি, কর্মীদের মাঝে আছি, ম্যায় হু না!

নাম না করে শুভেন্দু-সুকান্তদের দিকে তির

নাম না করেই পূর্বতন সহকর্মীদের কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না দিলীপ। বললেন, আমার আমলেই এঁরা এসেছিলেন, এখন যদি দল না এগোয়, তাহলে দায় কার? এই মন্তব্য ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র চর্চা শুরু হয়েছে—শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদারই কি তাঁর নিশানায়?

 ইতিহাস মনে করালেন—কে কখন এল বিজেপিতে

দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট মনে করিয়ে দিলেন—২০২০ সালে তিনিই ছিলেন রাজ্য সভাপতি, সেই সময়েই দলে যোগ দেন শুভেন্দু। আর সুকান্ত সাংসদ নির্বাচিত হন ২০১৯ সালে, তাঁরই সভাপতিত্বে। আজ তাঁদের উত্থান দিলীপকে সরিয়ে, এটাই যেন তাঁর অঘোষিত ক্ষোভের উৎস।

শমীকের হাতে ফিরল দিলীপের গুরুত্ব?

শমীক ভট্টাচার্যের রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর আবার দলের অন্দরমহলে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন দিলীপ ঘোষ। দীর্ঘদিন দিল্লির দরবারে চেয়ারে বসতে না পারার আক্ষেপ থাকলেও এখন যেন বদলাচ্ছে পরিস্থিতি। শমীক নিজেও বলেছেন, পুরনোদের সামনে বসানোই হবে তাঁর অগ্রাধিকার।

কোণঠাসা থেকেও জেলা সফর থামাননি দিলীপ

রাজনীতির মূলস্রোত থেকে কিছুটা দূরে সরেও দমে যাননি দিলীপ ঘোষ। নির্বাচনে পরাজয়ের পরেও একের পর এক জেলায় গিয়ে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ রেখে সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজে যে তিনি এখনও আগ্রহী, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

দলীয় পুনর্গঠনে ‘ঘর ওয়াপসি’ দিলীপের?

দীর্ঘদিন অবহেলিত থাকার পর ফের দিলীপ ঘোষের সক্রিয়তা তাঁর অনুগামীদের মতে ‘ঘরে ফেরা’-র লক্ষণ। তিনি কোনও পদে না থাকলেও তাঁর অভিজ্ঞতা ও জনপ্রিয়তাই হতে পারে বিজেপির ভবিষ্যৎ সংগঠন পুনর্গঠনের চাবিকাঠি।

দিলীপের বার্তা, পুরনোদের সম্মান ফেরানোর দাবি

দলের পুরনো ও প্রমাণিত সৈনিকদের যদি সামনে না আনা হয়, তবে সংগঠন এগোবে না—এটাই যেন দিলীপ ঘোষের আজকের বার্তা। তাঁর ইঙ্গিত, নতুন নেতৃত্বের পাশাপাশি পুরনো অভিজ্ঞ মুখদেরও পুনর্বাসন দেওয়া সময়ের দাবি।

Leave a comment