কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী পদে ডিকে শিবকুমারকে সমর্থন: জল্পনা আরও তীব্র

কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী পদে ডিকে শিবকুমারকে সমর্থন: জল্পনা আরও তীব্র

কংগ্রেস বিধায়ক সিপি যোগেশ্বর বলেছেন যে অনেক বিধায়ক এবং ভোটার ডিকে শিবকুমারকে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী করতে চান। ১০০ জনের বেশি বিধায়কের সমর্থনের দাবি।

Karnataka: কংগ্রেস বিধায়ক সিপি যোগেশ্বর বলেছেন যে ডিকে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি শুধু তাঁর একার নয়, বরং অনেক বিধায়ক এবং ভোটারেরও। এর ফলে রাজ্যে নেতৃত্ব পরিবর্তনের জল্পনা আরও একবার তীব্র হয়েছে।

ডিকে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি ফের জোরালো

কর্নাটকে কংগ্রেস পার্টির সরকার গঠনের পর থেকেই এই আলোচনা সময়ে সময়ে উঠেছে যে দল দুই বর্ষীয়ান নেতা—সিদ্ধারামাইয়া এবং ডিকে শিবকুমারের মধ্যে থেকে কাউকে স্থায়ী নেতৃত্ব দেবে কিনা। এবার ফের কংগ্রেস বিধায়ক সিপি যোগেশ্বরের বক্তব্যে এই বিতর্ক নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে। তিনি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, এই দাবি কেবল তাঁর ব্যক্তিগত ইচ্ছা নয়, বরং অনেক বিধায়ক এবং ভোটার এই ধারণা পোষণ করেন যে রাজ্যের দায়িত্ব ডিকে শিবকুমারকে দেওয়া উচিত।

সিপি যোগেশ্বর বলেন, “আমরা এই বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করি না। আমাদের জেলার মানুষ এবং রাজ্যের অনেক বিধায়ক মনে করেন যে ডিকে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত।” তিনি আরও বলেন, এই দাবি এখন আর স্থানীয় স্তরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, বরং দলের ভিতরে একটি শক্তিশালী অনুভূতি তৈরি হয়েছে। যোগেশ্বর এও দাবি করেন যে ১০০ জনের বেশি বিধায়ক ডিকে শিবকুমারের সমর্থনে রয়েছেন। যদিও তিনি স্পষ্ট করেছেন যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই নেবে।

ইকবাল হোসেনের বক্তব্যের সমর্থন

সিপি যোগেশ্বর কংগ্রেসের আরেক বিধায়ক ইকবাল হোসেনের সাম্প্রতিক বক্তব্যেরও সমর্থন করেছেন, যেখানে হোসেন দাবি করেছিলেন যে ডিকে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য দলের ভিতরে ব্যাপক সমর্থন রয়েছে।

তিনি বলেন, “ইকবাল হোসেন যা বলছেন, তা নিছক একটি মতামত নয়। এটা একটা বাস্তবতা যা অনেক বিধায়ক অনুভব করছেন।” যোগেশ্বরের এই মন্তব্য কংগ্রেসের মধ্যে ফের নেতৃত্ব পরিবর্তনের সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করে।

রণদীপ সুরজেওয়ালার জবাব

এইসব মন্তব্যের মধ্যে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা এবং কর্ণাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত রণদীপ সুরজেওয়ালা বেঙ্গালুরুতে পৌঁছন। মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এই বিষয়ে জবাব দিয়ে বলেন, “প্রত্যেকেরই নিজস্ব ইচ্ছা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে। আমরা এই বিষয়ে কথা বলেছি, তবে এর বেশি কিছু বলতে চাই না।”

সিদ্ধারামাইয়া বনাম শিবকুমার: পুরনো বিবাদ

কর্নাটক কংগ্রেসে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে সিদ্ধারামাইয়া এবং ডিকে শিবকুমারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন চলছে। সিদ্ধারামাইয়া রাজ্যের বর্ষীয়ান নেতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, যেখানে ডিকে শিবকুমার দলের প্রদেশ সভাপতি এবং একজন প্রভাবশালী নেতা, যাঁর সংগঠনে ভালো প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হয়।

২০২৩ সালে যখন কংগ্রেস রাজ্যে জয়লাভ করে, তখন এই বিষয়ে একটি সমঝোতা হয়েছিল যে সিদ্ধারামাইয়া প্রথম পর্যায়ে মুখ্যমন্ত্রী হবেন এবং পরে এই পদের দায়িত্ব শিবকুমারকে দেওয়া হতে পারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি।

Leave a comment