অতিরিক্ত বৃষ্টিতে দামোদর অববাহিকায় জলের স্তর অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছে। ডিভিসি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া হচ্ছে ৪৬ হাজার কিউসেক জল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে একসঙ্গে ছাড়া হয়েছে আরও ৪০ হাজার কিউসেক। ফলে দক্ষিণবঙ্গে বন্যার আশঙ্কা ঘনীভূত হয়েছে।
সেচমন্ত্রীর নজরদারি, সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঝাড়গ্রামে
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে যান। নয়াগ্রাম, কেশিয়ারি, গোপীবল্লভপুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি এলাকা পরিদর্শন করেন। জলবন্দি এলাকাগুলিতে জরুরি ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর নির্দেশও দেন তিনি।
লক্ষ্মণের রেখা ভেঙেছে জল, ডিভিসিকে আগাম না জানিয়ে জল ছাড়ার অভিযোগ
রাজ্যের অভিযোগ, ডিভিসি প্রথম দিকে জলছাড়ার পরিমাণ সম্পর্কে রাজ্যকে জানালেও পরে কোনও আগাম তথ্য না দিয়েই জলছাড়া বাড়িয়েছে। এই আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেচমন্ত্রী। তাঁর দাবি, ডিভিসির এই পদক্ষেপ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় দুর্যোগ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে।
হাওড়া থেকে পূর্ব মেদিনীপুর— জলের চাপে প্রশাসন তৎপর
ডিভিসির জল ছাড়ায় জলমগ্ন হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়া জেলার একাধিক এলাকা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নীচু অঞ্চল চিহ্নিত করে সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
নদী ও ব্যারাজে নজিরবিহীন জলস্ফীতি, সতর্ক বার্তা রাজ্যের
দামোদর ও অন্যান্য নদীতে জলের স্রোত বেড়েছে চরম মাত্রায়। ব্যারাজগুলিও প্রবল চাপের মুখে। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার ডিভিসিকে নির্দেশ দিয়েছে, আগাম না জানিয়ে জলছাড়া করা যাবে না এবং প্রতিদিনের জলছাড়ার পরিমাণ জানাতে হবে রাজ্যকে।
জলের তাণ্ডবে ক্ষতি চাষবাস ও বসতির, দুর্যোগ মোকাবিলায় শুরু তৎপরতা
জলের তোড়ে বহু কৃষিজমি প্লাবিত হয়েছে। বসতবাড়িও ভেসে গেছে। কৃষকেরা ক্ষতির মুখে। রাজ্য প্রশাসন উদ্ধারকার্য এবং ত্রাণসামগ্রী বিতরণে শুরু করেছে দ্রুত ব্যবস্থা। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে জলপথ ও নদীতীরে।