বিহারের সিওয়ান জেলায় এসটিএফ এবং পুলিশ লোক জনশক্তি পার্টি (লজপা) নেতা রইস খানকে গ্রেফতার করেছে। তল্লাশিতে একটি দেশি পিস্তল, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং অন্যান্য অপরাধমূলক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে, যা নিরাপত্তা সংস্থাগুলির জন্য একটি বড় সাফল্য এনেছে।
সিওয়ান: বিহারের সিওয়ান জেলায় রবিবার পুলিশ ও স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) একটি বড় যৌথ অভিযান চালিয়ে লজপা (রামবিলাস) নেতা রইস খানকে গ্রেফতার করেছে। এই অভিযানে তার সঙ্গে আরও তিন জন জড়িত ছিল। গয়াসপুর গ্রামে এই ব্যাপক অভিযানে পুলিশ অস্ত্র, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং যানবাহন সহ বেশ কিছু আপত্তিকর সামগ্রী জব্দ করেছে।
এসটিএফ এবং পুলিশ গয়াসপুর গ্রামে অভিযান চালিয়েছে
এসটিএফ এবং সিওয়ান পুলিশ জানিয়েছে যে তারা গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল যে গয়াসপুর গ্রামে অপরাধী চক্র জড়ো হচ্ছে এবং অস্ত্রের পাচার চলছে। ডিআইজি নীলেশ কুমারের মতে, খবর পাওয়ার পর ডিআইজি এবং সিওয়ান এসপি মনোজ তিওয়ারির নেতৃত্বে স্থানীয় পুলিশ ও এসটিএফের দল সকাল থেকে অভিযান শুরু করে।
প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা ধরে চলা এই অভিযানে পুলিশ এলাকাটিকে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছিল। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন যে হঠাৎ পুলিশ এবং এসটিএফের দল গ্রামে প্রবেশ করে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে তল্লাশি চালায়। এই অভিযান সম্পূর্ণ সুপরিকল্পিত এবং সুসংগঠিতভাবে পরিচালিত হয়েছিল।
রইস খান এবং ৩ সহযোগী গ্রেফতার
অভিযানের সময় লজপা নেতা রইস খানের সঙ্গে মুন্না খান, আফতাব এবং শাহ আলমকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। দল তল্লাশি চালিয়ে একটি দেশি পিস্তল, মাদকদ্রব্য, দুটি ওয়াকি-টকি, দশটি মোবাইল ফোন, একটি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, ছয়টি চার চাকার গাড়ি, একটি বাইক এবং দুটি ছুরি উদ্ধার করেছে।
এসপি মনোজ কুমার তিওয়ারি জানিয়েছেন যে উদ্ধার করা সামগ্রীগুলি অত্যন্ত গুরুতর এবং এগুলি অপরাধমূলক কার্যকলাপের ইঙ্গিত দেয়। তিনি আরও বলেছেন যে এখনও পর্যন্ত তদন্তে প্রাপ্ত অস্ত্র এবং যানবাহন রইস খান এবং তার সহযোগীদের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।
রইস খানের বিরুদ্ধে ৫২টিরও বেশি মামলা দায়ের
ডিআইজি নীলেশ কুমার জানিয়েছেন যে রইস খানের বিরুদ্ধে এর আগে থেকেই ৫২টিরও বেশি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা আছে। এর মধ্যে রয়েছে হত্যা, হুমকি, অবৈধ অস্ত্র রাখা এবং অন্যান্য গুরুতর অপরাধ। পুলিশ জানিয়েছে, তার গ্রেফতারি এলাকার আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য একটি বড় সাফল্য।
বিভিন্ন থানার তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, রইস খানের নেটওয়ার্ক বেশ কয়েকটি জেলায় ছড়িয়ে আছে। গত কয়েক মাসে সে বেশ কয়েকবার আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। এখন এই গ্রেফতারির পর তার গ্যাং কার্যকলাপ এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে রাশ টানা যেতে পারে।