হারদোইয়ে ধর্ম পরিবর্তনের চেষ্টার অভিযোগে ৮ জন গ্রেপ্তার: গরিবদের প্রলোভনের অভিযোগ

হারদোইয়ে ধর্ম পরিবর্তনের চেষ্টার অভিযোগে ৮ জন গ্রেপ্তার: গরিবদের প্রলোভনের অভিযোগ

হারদোইয়ের ভাবপুরওয়া গ্রামে ধর্ম পরিবর্তন করানোর চেষ্টার সময় আটজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ঘরে মোমবাতি এবং বাইবেল রেখে গরিব পরিবারগুলিকে প্রলোভন দেখানো হচ্ছিল। বজরং দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল।

হারদোই: সাঁদি থানা এলাকার ভাবপুরওয়া গ্রামে রবিবার সন্ধ্যায় একটি বাড়িতে একটি চंगाई সভা (ধর্মীয় সমাবেশ) আয়োজন করা হয়েছিল। এই সভায় গরিব পরিবারগুলিকে টাকা এবং প্রলোভনের মাধ্যমে ধর্ম পরিবর্তনে উৎসাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং আটজনকে গ্রেপ্তার করে। এই সময়ে বজরং দলের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।

ধর্ম পরিবর্তন মামলায় আট আসামি গ্রেপ্তার

খবর পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে সভায় উপস্থিত ব্যক্তিদের আটক করে। ঘটনাস্থলে মোমবাতি জ্বলছিল এবং একটি বাইবেল রাখা ছিল। পুলিশ জানিয়েছে যে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে বিভিন্ন গ্রামের আটজন ব্যক্তি রয়েছেন। তাদের সবাইকে উত্তরপ্রদেশ বেআইনি ধর্ম পরিবর্তন প্রতিরোধ আইনের অধীনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে পুলিশ পুরো এলাকায় নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে যে তারা গরিব পরিবারগুলিকে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ম পরিবর্তন করাতে চেয়েছিল।

অবৈধ ধর্ম পরিবর্তনে প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ 

সিও বিলগ্রাম রবি প্রকাশ সিং বলেছেন যে এই ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। তিনি জানান, মামলাটির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। কর্মকর্তারা আরও বলছেন যে এলাকায় উত্তেজনা বিবেচনা করে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রশাসনের এই পদক্ষেপ দেখায় যে সংবেদনশীল সামাজিক বিষয়ে আইনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে সামাজিক শান্তি বজায় রাখা সম্ভব।

প্রশাসন সতর্কতার আবেদন জানিয়েছে

ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। গ্রামবাসীরা পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার উপর নজর রাখা হোক। অন্যদিকে, বজরং দলের কর্মীরাও আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এবং সমাজে ধর্ম পরিবর্তনের অবৈধ প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

স্থানীয় লোকজন বলছেন যে ধর্ম পরিবর্তনের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে গ্রামের সামাজিক কাঠামো প্রভাবিত হতে পারে, তাই প্রশাসনকে প্রতিটি পদক্ষেপ সতর্কতার সঙ্গে নিতে হবে।

Leave a comment